২১শে এপ্রিল, শনিবার, বহরমপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “আমি গতকাল ঝন্টু শেখের বাড়িতে গিয়েছিলাম। গোটা গ্রামের মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিল। তাঁদের শোক এবং গর্ব দুইই স্পষ্ট ছিল। ঝন্টু শেখের আত্মবলিদানের মাধ্যমে তিনি একটি নতুন বার্তা দিয়ে গেলেন: দেশ রক্ষার প্রশ্নে হিন্দু-মুসলমানের কোনও ফারাক নেই।” চৌধুরী আরও বলেন, “সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনী যেমন বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সদস্য নিয়ে গঠিত, তেমনই দেশের প্রতিটি কোণে আমাদের একত্রিত হতে হবে। ঝন্টুর শহিদত্ব আমাদের দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। ২৬ জন হিন্দুর মৃত্যুর পর আমাদের সকলেরই ক্রন্দন করা উচিত, কিন্তু তা কখনও বিভাজনের পথ নেওয়া উচিত নয়।” তিনি বলেন, “আমি ঝন্টুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর মা এবং স্ত্রী, সন্তানদের অবস্থার কথা শুনে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। গোটা এলাকা আজ শোকের আবহে ভাসছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের একত্রিত হয়ে ঝন্টুর মতো শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো উচিত।” অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আজকের দিনে এই শোকের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কোলে গর্বের অনুভূতি থাকতে হবে। ঝন্টু শেখের আত্মবলিদান সারা দেশবাসীর কাছে একটি নতুন উদাহরণ হয়ে থাকবে।” এ দিন তিনি জানিয়েছেন যে, এলাকার মানুষদের মধ্যে এই শহিদকে স্মরণ করার জন্য এক হাজার মানুষের সমাগম হবে। “এটি আমাদের একতার বার্তা দেয়,” যোগ করেছেন তিনি।
