কভিদ আক্রমণে বন্ধ বীরভূমের পাচামি ডেউচা নলহাটির বেশকিছু পাথর শিল্প – G Tv { Go Fast Go Together)
কভিদ আক্রমণে বন্ধ বীরভূমের পাচামি ডেউচা নলহাটির বেশকিছু পাথর শিল্প

কভিদ আক্রমণে বন্ধ বীরভূমের পাচামি ডেউচা নলহাটির বেশকিছু পাথর শিল্প

দীর্ঘদিনের বীরভূমের একমাত্র শিল্প পাথর শিল্প। সেই পাথরের ওপর নির্ভর করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করে স্থানীয় মানুষজন। যে সমস্ত পাথর মাটি থেকে তোলা হয় সেগুলিকে খাদান বলা হয়। অন্যদিকে এই খাদান এর পাথর টুকরো টুকরো করে কেসার । এই ক্যাসার শিল্প এখন বন্ধের মুখে। কভিদ চলাকালীন সমস্ত ক্যাশার শিল্প এখন বন্ধ। বন্ধ রয়েছে সমস্ত কাজকর্ম। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গত তিন বছর আগেও যেভাবে ধুমধাম করে হতো সেই ধুমধাম আজ আর নেই। এখন সেই ক্যাসার-শিল্প ধুঁকছে। ক্যাশার মালিকরাও সেরকম ভাবে কোনও শ্রমিক নিয়োগ করতে পারছেনা অর্থের অভাবে। বিশ্বকর্মা পুজো এবার আর ধুমধাম করে নয় বরঞ্চ রীতি এবং নীতি মেনে কোনরকম ভাবে দায়সারা করে পুজো করতে চলেছেন উদ্যোক্তারা। যার মধ্যে রয়েছেন আনন্দ মণ্ডল তিনি ক্যাসার মালিক। প্রত্যেক বছর ধুমধামের সঙ্গে তিনি বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন। প্রচুর শ্রমিক সেখানে অংশগ্রহণ করে। সাজানো হয় মূর্তি, সাজানো হয় প্যান্ডেল, কিন্তু এবছর শ্রমিকের সংখ্যা অত্যন্ত কম, প্রায় নেই বললেই চলে। যেখানে ঠাকুর প্রায় সাত ফুটের হয়ে থাকত। সেখানে এখন ছোট করে ঠাকুর পুজো করতে হচ্ছে তাদের। পয়সাপাতি টান রয়েছে। যার জন্য বড় করে পুজো করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। প্রসাদ বিতরণ থেকে খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুই চলত কভিদ আক্রমণের আগে। কিন্তু গত দু’বছর ধরে সেরকম কোনো ধুমধাম সেখানে নেই। কোন রকম নমো নমো করে পুজো সাড়তে হচ্ছে তাদেরকে। শুধু আনন্দ মন্ডল ই নয় ওই এলাকার যে সমস্ত ক্যান্সার শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে যারা তারাও কোনক্রমে বিশ্বকর্মা ঠাকুর এনে পুজো করতে চাইছে ছোট করে। এই কোভিড আক্রমণে মৃৎশিল্পীরা ও পড়েছে সংকটে। যেখানে তাদের উপার্জন হত বেশি টাকার বায়না নিয়ে। সেখানে তাদেরকে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে । তাই এবারের বিশ্বকর্মা পুজো কোনক্রমে সাড়তে হচ্ছে পুজো উদ্যোক্তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »
Call Now Button