কারণ সোমবার মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। আবার বিকালে (নিত্যদিন) ৪ টে থেকে রাত্রি সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত মন্দিরের দ্বার উন্মুক্ত থাকে। প্রকৃতপক্ষে, বাবা পাতালেশ্বরের পুজো হয় দিনে তিনবার। সকালে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায়। তবে ভক্তরা মন্দির খোলা থাকাকালীন যে যখন মহাদেবের পুজো দিতে আসেন পুরোহিতমশাই পুজো করে দেন।
আর সন্ধ্যাবেলায় প্রতিদিন ধুমধাম করে হয় বাবা পাতালেশ্বরের আরতি। বাবা পাতালেশ্বরের আরতির পর সেখানে পরপর আরও চারটি মন্দিরে আরতি হয় (যথা: গণেশ মন্দির, মনসা মন্দির, কালী মন্দির ও ছোট শিব মন্দির)। আরতি শুরু হয় মোটামুটি সন্ধ্যে ৭:৩০ মিনিট নাগাদ। তারপর উপরে উল্লেখিত সবকটি মন্দির পরিক্রমা করে আরতি সমাপ্ত হতে প্রায় সাড়ে ৮ টা বেজে যায়। আর এই আরতি শেষ হওয়ার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরে প্রবেশের প্রধান ফটকটি।
তবে আরতির পর বাবা পাতালেশ্বরের মন্দিরে সারা বছর প্রতি সোমবার সন্ধ্যায় মহাদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় পায়েস ভোগ। এছাড়া পাতালেশ্বর মন্দিরে বাবা পাতালেশ্বরকে নিত্যদিন ফল নিবেদন করা হয়। তবে মহাদেবের বিশেষ পুজোর দিনগুলোতে যেমন ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রি, এছাড়া শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারে বাবা পাতালেশ্বরের উদ্দেশ্যে পুরোহিত মশাই নিবেদন করে থাকেন অন্ন ভোগ। তবে অন্ন ভোগ বলতে মহাদেবকে সাদা ভাতই নিবেদন করা হয়।
এবার আসি বাবা পাতালেশ্বরের বিশেষ পুজোর প্রসঙ্গে। জানা যায়, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের চতুর্দশী তিথিতে হয় বাবা পাতালেশ্বরের সেই বিশেষ পুজো। আর সেই সময় সারাদিন উপোস থেকে রাত্রি তিন প্রহরে ওই বিশেষ পুজো সম্পন্ন করে থাকেন পুরোহিত সমীর ঘোষাল মহাশয়। এছাড়া শ্রাবণ মাসের প্রত্যেকটা দিন পাতালেশ্বরের শিব মন্দিরে মানুষের ভিড় তো লেগেই থাকে; তবে শ্রাবণ মাসের প্রতিটি সোমবারে মন্দিরে জন সমাগম থাকে দৃষ্টান্তমূলক।