মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ব্লকের ফরিদপুরে ২০ বছর বয়সী নববধূ চুমকি খাতুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিয়ের দশ মাসের মধ্যে চুমকির স্বামী আমির হামজা সহ তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতো।
চুমকির প্রথম পক্ষের স্বামীকে ত্যাগ করে আমিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর থেকেই তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। গতকাল রাতে চুমকির মাকে ফোন করে মারধরের কথা জানানোর পর সকালবেলায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, এটি আত্মহত্যার ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে চুমকির স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
এদিকে, চুমকির মা ও পরিবারের সদস্যরা দোষীদের সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মৃতের আত্মার শান্তির জন্য স্থানীয়রা শোক প্রকাশ করেছে।