Reported By :- নিজস্ব প্রতিনিধি
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার সুবুদ্ধিপুরের ২ নং ওয়ার্ডের ৭৬ বছরের বিধবা মনিকা হালদার অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর নামে থাকা জমি বেআইনিভাবে নকল কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করা হয়েছে। মনিকা হালদার জানান, তাঁর স্বামী পরিমল কান্তি হালদার একজন নামকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং ২০১৯ সালে তিনি প্রয়াত হন।
তিনি বলেছেন, তাঁর নিজের নামে লখীপুর আবাদ মৌজায় একটি বাড়ি সহ ৫ শতক জমি রয়েছে, যার দলিল ও পড়চাও তাঁর নামে রয়েছে। গত বছর মে মাসে, তাঁর বড়ো ছেলে সঙ্গীত হালদার (যিনি ৭ মে, ২০২৪ সালে প্রয়াত হন) মৃত্যুশয্যায় থাকার সময় জমি বিক্রির কথা ভাবেন। এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তি জমির ক্রেতার খোঁজ দেন। কিন্তু অজ্ঞাতসারে ওই জমি বিক্রি হয়ে যায়। অভিযুক্ত অরুণ কুমার বেরা নকল কাগজ তৈরি করে জমিটি কিনেছেন বলে দাবি করেছেন।
জমির মূল মালিক মনিকা বলেন, খবর পাওয়ার পর তাঁর ছোটো ছেলে সৈকত হালদার ১৭ ফেব্রুয়ারি জমি দেখতে যান এবং সেখানে গিয়ে দেখেন যে অভিযুক্ত ঘর রং করছে। এরপর সৈকত ও তাঁর ছাত্র শামিরুল ফ্রেজার গঞ্জ কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। থানার পুলিশ অভিযুক্তকে নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে বলেন, কিন্তু সে আসলে মূল দলিল দেখাতে পারেনি।
৪ মার্চ, মনিকা তাঁর ছেলে ও আইনজীবীর সাথে নামখানা থানার লখীপুর আবাদ মৌজায় যান, যেখানে গ্রামবাসীরা তাঁকে আসল মালিক হিসাবে চিহ্নিত করেন। অভিযুক্ত অরুণ কুমার বেরাও স্বীকার করেন যে, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে জমি বিক্রি করা হয়েছে।
মনিকা হালদার বলেছেন, তাঁর বয়স ৭৬ এবং আদালতে ছোটাছুটি করা সম্ভব নয়। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন যে, তিনি যাতে নিজের জমি ফেরত পান এবং দোষীরা কঠোর শাস্তি পাক।