Skip to content
অধীর রঞ্জন চৌধুরী : ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা

অধীর রঞ্জন চৌধুরী : ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা

Reported By :- Binoy Roy

আজ (২১.০২.২০২৫) বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন কংগ্রেস দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেখানে তিনি কুম্ভ মেলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, কুম্ভ মেলায় সরকার নিরাপত্তার জন্য ৪০ লক্ষ মানুষের জমায়েতের কথা ভেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল, কিন্তু বাস্তবে সেখানে ৫৫ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে।

এই বিশাল সংখ্যক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের ত্রুটি ছিল উল্লেখযোগ্য।কংগ্রেস নেতা বলেন, “উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল এখানে ২ লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে, কিন্তু ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ কোটির বাণিজ্য হয়ে গেছে। তাহলে যখন মুনাফা এত বেশি, তখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেন কম থাকবে?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন।এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন যে, কুম্ভ মেলায় অসংখ্য মানুষের দুর্ঘটনার কবলে পড়া এবং প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং মানুষের জীবনকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।এই ঘটনাটি কেবল কংগ্রেসের জন্য নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, যেখানে জনগণের সুরক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গের ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের প্রতি লাঞ্ছনা ও আঘাতের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় সমাজসেবীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যারা বিশ্বাস করেন যে, শান্তি ও সমন্বয়ের জন্য সকল ধর্মের প্রতি সম্মান অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অভাব আমাদের সমাজকে অস্থির করে তুলছে এবং এর ফলে ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।নবীন সমাজকর্মী রাহুল মিত্র বলেন, “ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষদের প্রতি আক্রমণ শুধু তাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নয়, এটি আমাদের সমাজের সামগ্রিক মূল্যবোধের প্রতি আঘাত।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের সকলকে একসাথে দাঁড়িয়ে ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।

” এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ধর্মীয় দাঙ্গা রোধে কার্যকর নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সরকারকে উচিত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক ঐক্য বজায় রাখা যায়।ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে সকলের সমানভাবে লড়াই করা অত্যন্ত জরুরি, এবং এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সমাজের প্রতিটি সদস্যের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।

২১ ফেব্রুয়ারি, মাতৃভাষা দিবস। এই বিশেষ দিনে, আমাদের দেশের মাতৃভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও তার তাৎপর্যকে স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে ভাষার জন্য সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বরকত আলী, যিনি মুর্শিদাবাদের একজন বীর সন্তান।

এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মাতৃভাষা আন্দোলন বাংলার মানুষের জন্য শুধু একটি ইতিহাস নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ। বরকত আলী আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা, যার আত্মত্যাগ আমাদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের উচিত মাতৃভাষা দিবসকে সম্মান দেওয়া এবং এর গুরুত্ব নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।”

মাতৃভাষা দিবসের এই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ভাষার গুরুত্ব এবং ইতিহাসকে পুনঃমূল্যায়ন করা হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই মিলে মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানাই এবং আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যকে সম্মানের সাথে ধারন করি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!