প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক মৃণাল ঠাকুর, যিনি বর্তমানে অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোটোনিক ম্যাটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরের পরিচালক, এবছর নোবেল পুরস্কারের জন্য তাঁর দীর্ঘদিনের গবেষণার স্বীকৃতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। তিনি ২৩ বার রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেও, এখনও পর্যন্ত বিজয়ী হতে পারেননি। তাঁর গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হলো “Non-conjugated Conductive Polymer”, যা ২০০০ সালের নোবেল পুরস্কারের সময় যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি।অধ্যাপক ঠাকুর চারটি প্রধান বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, যেগুলোকে তিনি নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করার দাবি করেছেন। প্রথমত, ২০০০ সালে তাঁর আবিষ্কৃত Non-conjugated Conductive Polymer-এর বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, The Royal Swedish Academy of Science-এর ওয়েবসাইটে যে তথ্য প্রচলিত রয়েছে, তা সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তৃতীয়ত, ২০০৩ সাল থেকে তাঁর গবেষণা তহবিল বন্ধ করে দেয়ার পেছনে যে ভুল তত্ত্বের ভিত্তি ছিল তা জনসমক্ষে আনা উচিত। চতুর্থত, ২০১৪ সালে Chemistry তে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত তত্ত্বগুলি তাঁর গবেষণার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।অধ্যাপক ঠাকুর বলেন, “আমি দুঃখিত যে আমার গবেষণাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আমার আবিষ্কৃত Non-conjugated Conductive Polymer এবং Nonlinear Optical Studies উভয়কেই অবমূল্যায়িত করা হয়েছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এবছর বাংলা থেকে নোবেল পুরস্কারের প্রাপ্তি ঘটবে এবং বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।এভাবে, অধ্যাপক মৃণাল ঠাকুরের সংগ্রাম বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঠিক স্বীকৃতি দাবি করছে এবং বাংলা বিজ্ঞানীদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অংশ হতে চায়।
