অবলম্বন ছবির পোস্টার ও সংগীত প্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। – G Tv { Go Fast Go Together)
অবলম্বন ছবির পোস্টার ও সংগীত প্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতা প্রেস ক্লাবে।

অবলম্বন ছবির পোস্টার ও সংগীত প্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতা প্রেস ক্লাবে।

REPORTED BY :দেবব্রত রায় চৌধুরী

অবলম্বন
বৃদ্ধ শ্বশুর মশাই দয়াল বাবু, বিধবা বৌমা মমতা, আদরের একমাত্র নাতি বিজয় ও কাজের লোক রামু কে নিয়ে সুখের সচ্ছল সংসার। বেশ কাটছিল দিনগুলো। অন্যদিকে, বৃদ্ধা পিসি সুধা, বাপ মা হারানো দাদার মেয়ে মৌ ও ভাই সোম কে নিয়ে কোনো রকম দিন কাটছিল। এই দুই পরিবারের মধ্যে অদ্ভুত এক মিল রয়েছে। বিজয় ও মৌ একে অপরকে খুব ভালো বাসে। উভয় পরিবারেরও বিয়েতে মত আছে। শর্ত একটাই, আগে পড়াশোনা, তারপর কেরিয়ার, তারপর বিয়ে। বিজয় ও মৌ তাতেই রাজী। হঠাৎই এক চিলতে ঝড়ো হাওয়ায় সব কেমন বদলে যায়।
দুজনের স্কুলের পড়াশোনা শেষ হয়। ক্রমে, বিজয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার জন্য শহরের কলেজে ভর্তি হয়। আর মৌ নিজের এলাকার কলেজে ভর্তি হয়।
একসময় দুজনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিজয় কলেজে গিয়ে অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠা মাহী নামে একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে ও বিজয় তাকে হঠাৎই বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরিবারের সবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। বিজয়ের দাদু ও মায়ের স্বপ্ন ভেঙে যায়। মা মমতা এ বিয়ে না মানতে চাইলেও, শ্বশুরমশাই বোঝায়, জীবনে অনেক কিছুই মেনে নিতে হবে, কারণ, বিজয় আমাদের খুব স্নেহের। ছেলে বেলায় ওর বাবা কে হারিয়েছে। তুমি ওকে মানুষ করেছো নিজের সব কষ্ট ভুলে। ওই একমাত্র আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। বৃদ্ধ শ্বশুর এর কথা ফেলতে পারে না মমতা।
অন্যদিকে, সুধা ও ভাগ্যের আর রাধামাধব এর দোহাই দিয়ে মৌ কে বোঝায় – বিজয় যদি তোকে ভুলে থাকতে পারে, তুই কেন পারবি না। জীবনটাকে নতুন ভাবে ভাব। এখোনো অনেক সময় পড়ে আছে মা, আমার আর সোম এর বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন তুই।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আবার দুজনের দেখা হয়। বিজয় যে অফিসে বস এর চাকরি নিয়ে আসে, সেখানে মৌ ও চাকরি করে। পুরোনো দিনের কথা কেউই ভুলতে পারে নি।
এদিকে সব কিছু ভুলে মমতা ও দয়াল, মাহীকে মেনে নিলেও মাহী দুর্বলতার সুযোগ নেয়। মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক! মাহীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, দয়াল ও মমতা সংসারের সব মায়া কাটিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। দাদু নিরুদ্দেশ। মমতা এক বৃদ্ধাশ্রমে যায়। সেখানে আলাপ হয় সন্দীপ বাবুর সাথে। উনিও বৌমা দ্বারা অত্যাচারিত। তাই তার স্থান ওখানে। সন্দীপ মমতা কে পেয়ে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা জোগায়। কয়েক দিন ওখানে থাকার কারণে উভয়ের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন হয়। সন্দীপ জানায় – গ্রামে তার একটা স্কুল আছে। অনাথ শিশুদের নিয়ে। সে ওখানে ফিরে যাবে। সাথে মমতা কে নিয়ে যেতে চায়। সন্তানরা যদি তাদের বাবা মা কে ছেড়ে থাকতে পারে, তাহলে বাবা ও মা সন্তানদের ছেড়ে থাকতে পারবে না কেন❓মমতা প্রথমে রাজী না হলেও, পরে অনাথ শিশুদের কথা ভেবে যেতে রাজী হয়। আর
সন্দীপ এর ব্যবহার ও কথা বার্তায় মমতা তার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া স্বামী রঞ্জন কে খুঁজে পায় | আবার সব কিছু ভুলে যেতে চায়। নতুন স্বপ্ন নিয়ে গ্রামের অনাথ শিশুদের স্কুলে যায় ওরা। শিশুদের অবলম্বন করে নতুন করে জীবন শুরু করে। এই রকম নানা ধরনের টানাপোড়ন এর গল্প নিয়ে সাহিত্যিক দীননাথ চট্টোপাধ্যায় “অবলম্বন” গল্প লেখেন। তাঁর সেই “অবলম্বন” গল্পটি বহু পুরস্কার ও প্রশংসা পায় চারিদিকে।
তারপর দীর্ঘ কয়েকটি বছর কেটে যায়।
জীবন সায়ান্যে এসেও তিনি আজ খুশি নন। তাঁর দিন কাটছে বেঁচে থাকার লড়াই করে। আসলে তাঁর লেখা “অবলম্বন” গল্পের সাথে হুবহু মিলে চলেছে, বর্তমান পরিস্থিতি ও বাস্তবে ঘটে চলেছে প্রতিনিয়তই নিজের জীবনে। যা তিনি কখনও কল্পনা করতে পারেন নি। তাইতো দীননাথ বাবুকে বলতেও শোনা যায় – আমার এই “অবলম্বন” গল্পের বিষয়বস্তু আমারই জীবন থেকে নেওয়া। অবলম্বন বিশ্বাসের অঙ্গীকার, চারিদিকে উচ্চ প্রশংসিত , পুরস্কার,সম্মান পেলেও, আজও আমি আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন খুৃঁজে বেড়াই।
বিজয় কি তার দাদু ও মা কে ফিরে পাবে❓
সন্দীপ ও কি তার ছেলে বৌমার কাছে ফিরে যাবে❓
সুধা ও মৌ এর কি হবে❓
মৌ এর জীবনে আসে অভীক, তা কীভাবে❓
দাদু কী বাড়ি ফিরে আসে❓নানা প্রশ্ন❓
এসব নিয়েই অবলম্বন।

প্রিয়া ফিল্মস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত -“অবলম্বন”
অভিনয়ে :
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,
লিলি চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,
মেঘনা হালদার, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য,
প্রিয়া পাল, টুইঙ্কল বসু, টাপু কর, পলাশ গাঙ্গুলী,
নাড়ুগোপাল মণ্ডল, পৃথা দাস, বাপি সামন্ত,অর্ণব, সুপ্রীতি, গোলাপ আলী, রাজ ভাদুড়ী, রঞ্জিত, সুমন, প্রদীপ, সোহম পাল, সৌমেন দাস, বাবাই দাস, আর্য্য বসু, পবিত্র সরকার,আশীষ চক্রবর্তী, মধুমীতা শীল, আনন্দ, কিংশুক মাইতি, সংঙ্ঘমিত্রা দাশগুপ্ত, সীমা দে, সুবীর সামন্ত, কুসুম, ইন্দ্রজিৎ মাইতি, হৃদরাজ দাস,সৌমজীত দাস, অনন্যা বিশ্বাস, কুশল মাইতি, বিশ্বনাথ বেরা, মনোরমা ও অন্যান্যরা।
কাহিনী ও প্রযোজনা : প্রিয়া পাল
চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা : নাড়ুগোপাল মণ্ডল
চিত্রগ্রহণ : নয়ন মনি ঘোষ
বিশেষ চিত্রগ্রহণ : আনমোল সাহা
সম্পাদনা : অরিন্দম গায়েন
সঙ্গীত পরিচালনা : নীলাকাশ রায়
গীতিকার : গৌতম সুস্মিত ও স্মরজিৎ বন্দোপাধ্যায়,
নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী : অন্বেষা দত্তগুপ্ত, সুজয় ভৌমিক, শৌভীক পাল, প্রিয়া পাল, জয় শাশ্বত ভট্টাচার্য, মৌমিতা রায়, কূহেলী বসু ও অন্যান্যরা।
একটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর গান ব্যবহার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত সংলাপ : বিনোদ মণ্ডল
শব্দ : অমিত দাস
নৃত্য পরিচালনা : জয়া দাস
প্রচার পরিকল্পনা : দেবব্রত রায় চৌধুরী

Leave a Reply

Translate »
Call Now Button