মুর্শিদাবাদের রানীনগর দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলী অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্যের সঙ্গে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতা, একাধিক রাজনৈতিক চাপে পড়েও দলের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন।
গত নির্বাচনে, কুদ্দুস আলী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস রানীনগরে তৃণমূলকে হারিয়ে একটি শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে, শাসকদলের পক্ষ থেকে তাকে ঘিরে হুমকি ও চাপ বাড়তে থাকে। অনেক পঞ্চায়েত প্রধান হুড়হুর করে তৃণমূলে যোগ দিলেও, কুদ্দুস তাঁর আদর্শ ও বিশ্বাস বজায় রেখেছিলেন।
আজ রানীনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেনের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলের সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। এই পরিবর্তনটি শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় সংকটের সূচনা করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি কংগ্রেসের শক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং মুর্শিদাবাদে তাদের পদক্ষেপগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
এখন প্রশ্ন উঠে আসে, ভবিষ্যতে কিভাবে কংগ্রেস নিজেদের পুনর্গঠন করবে এবং তৃণমূলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কীভাবে একটা কার্যকর প্রতিবাদ গড়ে তুলবে। রাজনীতির দ্রুত পরিবর্তনশীল দৃশ্যে কুদ্দুস আলীর এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।