কবি গুরুর গান ও তার আঙ্গিক @ অমিতাভ চক্রবর্তী
ক্যালেন্ডার পালটে যাচ্ছে ঘরের দেওয়ালের পশ্চিমকোণের।
বয়স বাড়ছে সময়ের, জন্মদিন পালন হচ্ছে তারই, আমরা আহ্লাদী হয়ে ডাকছি নিউ ইয়ার।
কেউ কারো ইয়ার নয়,সঙ্গী নয়।
এক একটা একই রকম দিন আলমারিতে সাজানো আছে।
একই রকম রাত যার ভিতর আছে স্লিপিং পিল, শেষ টেক্সট, পরের দিনের অ্যালার্মের অপেক্ষা।
চেনা টানেল, চেনা মুখ, অচেনা ছোবল আর প্রতিশ্রুতির পাহাড়।
ঘুমের শেষে শুরু জমি পরিমাপ,গুণে গেঁথে নেওয়া অধিকারবোধ।
তারপর শুরু ওটিপি, ইএমআই, আর নিউমেরোলজি যা দিয়ে কেনা হবে সুখী পরিবার।
আর এভাবেই পেরিয়ে যায় গুণে দেওয়া ১২ টা বছর, ঝকঝকে শনি রবি, আর আমার থেকে তুমি।
২৫ টা জানুয়ারি পেরিয়ে গেলে আমি জানি না মানুষ আর উইশ কে আদেও সৎ মনে করে কি না অথবা নেহাত নিতান্ত হাই, হ্যালো এর এক্সটেনশন।
গম্ভীর মুখে এক কোনে বেঁচে থাকা প্রাচীন ল্যান্ডফোন যেমন গুণতে থাকে মৃত্যুর আর ক্ষত শুকিয়ে যায় সময়ের ফ্রিজারে।
সমান্তরাল ভাবে তোমার আমার আঙুল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সুতোটা।
প্রাণপনে তবু জড়িয়ে রাখছি সেটা যেভাবে পুরনো কার্ডিগানের পকেটে ওম লেগে থাকে। অনেকের মত আমরা আবার ভাঙা রেজোলিউশন জোড়া দিচ্ছি নিজস্ব মমতায়,
আলোকবর্ষ দূরত্ব না পেরিয়েও, যে কখনও ফিরবেনা জেনেও প্রার্থনা করে যাচ্ছি তার নিরাপদ চলে যাওয়া টুকু, আস্পর্ধা দেখাচ্ছি চেনা টানেলের অন্ধকারে হুমড়ি খেয়েও যত্ন নেওয়ার,কিছু ভালো খবর, ভালো স্বপ্ন,
কিছু ভালো মূহুর্ত সব্বার কাছে আসুক যেভাবে তোমার আমার পাড়ায় হঠাৎ ফেরিওয়ালা চলে আসে,
চলে আসে প্রিয় সিনেমা কাছের মাল্টিপ্লেক্সে।
প্রেমিক ও প্রেমিকারা আঙুল জড়িয়ে কাটিয়ে দিক সময়ের আরও কিছু জন্মদিন।
আর আমার হাতে থাকুক এই গ্রিটিংস কার্ড যেটা না পাঠানো চিঠির মতই প্রেরকের কাছে দামী।
প্রেরক আর প্রাপক দুজনেই একইজন।
শুধু তাদের মধ্যে একটা ৫২ সপ্তাহের ডেডলাইন।
ইতি,
ইন্তেজার চিনে ও বুঝে নেওয়া অবুঝ।।