বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মল্লিক ছাত্র- ছাত্রীদের এই ইচ্ছার কথা জানতে পারেন। পাশাপাশি তাদের সমস্যার কথা ও জানতে পারেন।প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মল্লিক ছাত্র -ছাত্রীদের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক -শিক্ষিকাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যালয়ের শিশু সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাব দেন,ওরা নিজেরাই রাখী তৈরি করুক বিদ্যালয়ে।গ্ৰামটির অধিকাংশ বাড়িতে জরির কাজ হয়। সেই মতো ফেলে দেওয়া জরির কাজের পুঁতি,লেস,আঠা ও কিছু সুতো নিয়ে ছাত্র -ছাত্রীরা শুরু করে রাখী তৈরির কাজ।প্রবল উৎসাহে বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা টিফিনের সময় থেকে শুরু করে রাখী তৈরির কাজ।রাখী তৈরি করে শিশু শ্রণীর অভীক মাখাল,বর্ণালী মাল। প্রথম শ্রেণীর সায়ন ঘুকু,পৌলমী পাত্র। দ্বিতীয় শ্রেণীর পিউ মাল। তৃতীয় শ্রেণীর বর্ষা মন্ডল,সায়ন বর। চতুর্থ শ্রেণীর মঞ্জুষা গায়েন, জগদীশ মন্ডল। পঞ্চম শ্রেণীর টুসু মাল, ঈশিতা মাল,বন্দনা পাখিরা।ছাত্র -ছাত্রীদের রাখী তৈরি করতে সহযোগিতা ও উৎসাহিত করেন প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার মল্লিক,শিক্ষক দুর্গা বর,সুদীপ মাখাল,অর্পণ জেলে, শিক্ষিকা অনিতা মাল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষিকারা চিন্তা-ভাবনা দেন পড়ুয়াদের। সম্পুর্ণ কাজটি করে পড়ুয়ারা।পড়ুয়ারা এক এক করে প্রায় শতাধিক রাখী তৈরি করে ফেলে।এর পর পড়ুয়ারা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি রাখী পথ চলতি মানুষজন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষিকাদের,ছাত্র-ছাত্রীদের, অভিভাবক -অভিভাবিকাদের হাতে পরিয়ে দেয়।গ্ৰামবাসী, অভিভাবক -অভিভাবিকারা খুব খুশি তাদের ছেলে -মেয়েদের নিজেদের হাতে তৈরি রাখী পরে।