নাট্য প্রেমীদের জন্য বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে রয়েছে একমাত্র নাটকের মঞ্চ নেপাল মজুমদার ভবন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর ধরে সেটি বন্ধ রয়েছে। এই একমাত্র সাংস্কৃতিক মঞ্চটি সংস্কার এবং খোলার দাবিতে আজ দুবরাজপুর নেপাল মজুমদার ভবন সংহতি মঞ্চের পক্ষ থেকে দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদককে ডেপুটেশন প্রদান করা হল। হাতে প্লাকার্ড নিয়ে এদিন মাদৃক সংঘ ময়দান থেকে একটি রেলি করে দুবরাজপুর ব্লক অফিসে আসেন সদস্য ও সদস্যারা। নাট্যকর্মী বাপী কুণ্ডু জানান, দুবরাজপুরের সাংস্কৃতিক কর্মী, নাটকের কর্মী, কবি -সাহিত্যিক, মাস্টার মসাই, ব্যবসায়ী ও ছাত্রছাত্রীরা সবাই মিলে একটি নাম দিয়েছি দুবরাজপুর নেপাল মজুমদার ভবন সংহতি মঞ্চ। আমরা সবাই একসাথে জড়ো হয়ে বিডিও সাহেবকে আজ ডেপুটেশন প্রদান করলাম। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সাল থেকে এই মঞ্চটি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ আছে। এটি ছিল আগে নাটকের উপযোগী। এই মঞ্চটিতে ওস্তাদ মানস চক্রবর্তী, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, তেজেন মজুমদার, রশিদ আলী খাঁ সহ কলকাতার বিখ্যাত নাট্যদলগুলো নাটক করে গেছে। সেটা খুব সুন্দর হল ছিল কিন্তু আগের বিডিও সাহেব চেয়েছিলেন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করে আরো উন্নত করতে। কিন্তু তিনি যখন এখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে গেলেন আর সেই কাজটা হল না। তাই আমরা আজ বিডিও সাহেবকে কিছু দাবী নিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করতে এসেছি। এরপরও যদি সুরাহা না হয় তাহলে আমরা এলাকার সাংসদ, প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে যাব। দরকার পড়লে আমরা এখানে সাত দিন ধরে অবস্থান করব। এরপরও যদি কিছু না হয় তাহলে যিনি বীরভূমে সবার মাথার ওপরে বসে আছেন তাঁর কাছে যাব। এ বিষয়ে দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদক জানান, আমরা বিষয়টি জানলাম। একটি স্কিমের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু যেটুকু হয়েছে তা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। তাই সেটা কিভাবে করা যাবে তা নিয়ে আমরা পঞ্চায়েত সমিতিকে নিয়ে বসে একটি আলোচনা করব ফাণ্ড কোথা থেকে নেওয়া যায়।