পশ্চিমবঙ্গে একবার আবার নির্বাচনী রাজনীতির নাটক শুরু হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে টিএমসি এবং বিজেপির মধ্যে চলমান বিতর্ক রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন মাত্রা যোগ করছে। টিএমসি'র পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সংখ্যালঘু ভোটার বাড়াতে নার্সদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানো হচ্ছে। তারা বলছেন, "মমতা ব্যানার্জি যেভাবে নার্সদের নিয়ে আসছেন, তাতে আপনারা ভয় পাবেন না; আমরা দেখব আপনার নাম তালিকায় রয়েছে কি না।" অন্যদিকে, বিজেপির নেতারা অভিযোগ করছেন যে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বাড়ছে, যা নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে। তারা বলেন, "সংখ্যালঘুরা নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, হিন্দুরা যেন এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে না পড়ে।" এমন পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, নির্বাচনী প্রচারে জাতিগত বিভাজন এবং নাগরিকত্বের প্রশ্নকেই কেন্দ্রবিন্দু করা হচ্ছে। এই বিষয়ে একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, "২০২১ সালের এনআরসি বিতর্কের পরে, এখন আবার সেই বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে।" আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে তার সরকারের অধীনে নারীদের নিরাপত্তা এবং শিক্ষা কি উন্নতি পেয়েছে। "আপনার রাজ্যের নারীদের ধর্ষণের সংখ্যা কত? শিক্ষার হার কি বৃদ্ধি পেয়েছে?" এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তুত কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। সংক্ষেপে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী রাজনীতিতে যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা না হয়ে ধর্মীয় বিভাজন ও রাজনৈতিক দিশাহীনতার খেলা চলছে, সেখানে নারীদের সমস্যাগুলো যেন একেবারে আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত এইসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া।