Reported By:-তুষার কান্তি খাঁ
পুজো মানেই শরতের নতুন আকাশ। সঙ্গে নতুন জামা কাপড়ে একটু বদলে নেওয়া। বাঙালির শ্রেষ্ঠ শারদ উৎসবে ও প্রান্তিক মানুষেরা আজও অনেকটাই পিছিয়ে। তাঁদের কাছে নতুন জামা কাপড় যেন বিলাসিতা। সেইসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে কয়েক বছর ধরে এগিয়ে এসেছে বহরমপুরের”বারো পল্লী দুর্গোৎসব কমিটি”। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই ছুটে যায়” বারো পল্লীর” সদস্যরা। করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে ছিলনা তাদের পথ চলা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মাঝে সরকারি নির্দেশাবলী মেনে কাজ করেছেন সংস্থার সদস্যরা। পুজোতে তারা কম্বল বিতরণ করেছেন গরিব-গুনো দের।
অতি মারির কারণে গতবছর শারদ উৎসব ছিল প্রায় ম্লান। এবছর সেই পরিবেশ পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গেছে। এবারে তাদের দূর্গোপূজো ৪০ বছরে পদার্পণ করল। এবারের উৎসবে তাদের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন শুনলে তাজ্জব যাবেন! পুজোর পরপর তিনদিন ছিল খিঁচুড়ি, ভাত, পোলাও, মিষ্টি আরো কত কি! আর সপ্তমীতে ছিল ৭ ভাজা, অষ্টমীতে ৮ ভাজা, নবমীতে ৯ ভাজা।
আর দ্বাদশীতে পাড়ার প্রতিভাবান শিল্পীদের নিয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। “বারো পল্লীর” সাংস্কৃতিক শাখার নাম “সোনার তরী”।”সোনার তরী’র”ছেলেমেয়েরা এদিন নাচ, গান, আবৃত্তি তে অনুষ্ঠান মঞ্চ ভরিয়ে তোলে। সঙ্গে ছিল “আমরা সবাই রাজা”শিল্পী গোষ্ঠী কোরাস রবীন্দ্র সংগীত। তাঁরাই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রবীন্দ্রনাথের”এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয়, আলোয়”,” আমার সকল রসের ধারা”গান দুখানি দিয়ে। সঞ্চালিকা ছিলেন শাশ্বতী বাগচী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক প্রদীপ মাহাতো, সভাপতি পীযূষ ঘোষ প্রমুখ।