কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির উদ্যোগে, গত ২১ থেকে ২৪শে মে মহাসমারোহে পালিত হল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৫ তম জন্মদিবস। এই চারদিনব্যাপী রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রথীন্দ্রমঞ্চে, যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কবিগুরুর প্রতি প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানানো হয়েছিল।বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি এবং তাঁদের জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা, রবীন্দ্রনাথের রচিত গান, কবিতা পরিবেশন ও নৃত্য প্রদর্শনে প্রতিটি সন্ধ্যা রূপ পেয়েছিল এক মনোজ্ঞ উৎসবে। উৎসবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়ান কনসাল জেনারেল ম্যাক্সিম ভি. কোজলভ, ড. স্বরূপ প্রসাদ ঘোষ, সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি।
প্রথম দিনে রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সাহিত্য পত্রিকা “সাহিত্য পত্র” এর আটত্রিশতম সংখ্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। প্রতি সন্ধ্যায় নবীন সংগীত ও বাচিক শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় দর্শকদের মন জয় করে নেয়।শেষদিনের অনুষ্ঠানটি ছিল চিরকালীন বর্ণনার ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে, যেখানে পরিচালনা করেন শিপ্রা বসু ও কৌশিক ঘোষ। শ্রোতাপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে প্রতিদিনের আয়োজন হয়ে ওঠে শ্রুতিমধুর আনন্দময় অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে সমবেত কণ্ঠে ভারতের জাতীয় সংগীত গেয়ে।যুব সম্প্রদায়ের এই অংশগ্রহণ এবং নবীন শিল্পীদের উন্মোচন সত্যিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানোর এক অনন্য উদাহরণ।