মৃত্যু মুখে রয়েছি দাড়ায়,
যেথায় জীবন সকলই হারায়,
ভাবছি বসে সত্যি কি ছিলাম একা?
আসবে যারা খুঁজতে মোরে,
অশ্রু সজল দুচোখে ভরে,
আদৌ কি আর পাবো তাদের দেখা?
স্বজন স্বপন সকল ছাড়ি,
যাচ্ছি না জানি সে কোন বাড়ি,
না জানি ভেলা ভাসাবে কোন পাড়ে!
দুদিন বাদি নয়ন মুছি,
সত্য যাহা সকলই বুঝি,
কেই বা আর রাখবে মনে কারে।
ভাসছে আবেগ জীবন ভেলায়,
দাড়িয়ে জীবন সাঁঝের বেলায়,
বড্ড বেশি পড়ছে তোমায় মনে।
যদিও তুমি বহু দূরে,
তবুও আছো পরান জুড়ে,
যেমন ছিলে আমার প্রতিটি ক্ষণে।
কাজল কালো মেঘের তলে,
যেথায় নদী ভেসে চলে,
দেখেছিলাম তোমার মুখে বাঁচার আলোক-ছটা!
স্নিগ্ধ উষ্ণ আলিঙ্গনে,
জুড়ায় ছিলে আপন মনে,
পড়ছে মনে সকল সেসব কথা।
আজ জীবন চেয়ে মৃত্যু মধুর,
যাইতে হবে সে কোন সুদূর,
ভেলায় বুঝি লাগলো সময় ঢেউ!
প্রতিবিম্বে সত্য দেখে,
কবিতাটি আগলে রেখে,
জেনে রেখো ডাকবে না আর কেউ।
স্নিগ্ধ সমীর তনু জুড়ে,
সকল মোহ যাচ্ছে উড়ে,
ভাঙছে দুকূল, ভাঙছে সকল দিকে!
নিশ্বাস যেন হয়েছে ভারী,
কবিতাতে পড়ছে দাড়ি,
নীল আকাশ ও লাগছে যেন ফিঁকে।
বিশ্ব সংসার পিছনে রাখি,
যতদূরে যাচ্ছে আঁখি,
সবই নশ্বর, সবেতে ধরেছে ক্ষয়।
অভিশাপের মনুষ্য রূপ!
শেষ মুহূর্তে সকলই চুপ!
মৃত্যুতে আর নাই যে কোনো ভয়।।