মুর্শিদাবাদের ডোমকল এলাকার ভগরথপুর গ্রামের বাসিন্দা রসূল শেখ গত দু মাস ধরে কাজের সন্ধানে ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন। সেখানে তিনি প্রাথমিকভাবে কাজ পাওয়ার পর ভালই চলছিল। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হয় এবং তাকে একটি বড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অথচ, চিকিৎসা খরচের জন্য পরিবারের কাছে অর্থ পাঠানোর খবর পৌঁছাতেই সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা পাঠানো হয়েছিল। তবে দুঃখজনকভাবে সেই টাকা শেষ পর্যন্ত রসূল শেখকে বাঁচাতে পারল না। বুধবার রাতে তার মৃত্যু সংবাদ এলে গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।
তিনি পেছনে রেখে গেছেন বৃদ্ধ মা, অসহায় স্ত্রী এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরের পুত্র সন্তান। এই পরিবার এখন মূলত সরকারের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। স্থানীয় মানুষজনও তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু প্রশ্ন ওঠে—একটি পরিবারের মুখে এত শোকের কারণ কী? কেন আমাদের সমাজে এমন ঘটনা ঘটছে?
স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে সরকারিভাবে যদি আরও স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো, তাহলে হয়তো আজকের এই বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হতো। বর্তমানে গোটা এলাকায় রসূল শেখের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সবাই অপেক্ষা করছে তার নিথর দেহ বাড়িতে ফিরবে কবে।