এই প্রসঙ্গে মৃতার বড় ছেলে সুকান্ত বাগ বলেন, " আমি মাঝে মধ্যেই মায়ের খোঁজ খবর নিতাম।রোজ মায়ের কাছে আসা সম্ভব হতো না। কয়েকদিন আগে আমি মায়ের খোঁজ নিতে এসেছিলাম। তখন কেউ দরজা খোলে না। আমি ও সেই সময় কাউকে কিছু বলি নি। আমি বাড়ি থেকে চলে আসি। তখন আমি বুঝতে পারি নি যে, এইরকম কিছু একটা ঘটেছে। আমার সংসার থাকার কারণে সব সময় মায়ের কাছে আসা, খোঁজ খবর নেওয়া সম্ভব ও হত না। আজকে শুনলাম এরকম ঘটনা ঘটেছে "।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, " এই ধরনের ঘটনা তো এখন আমরা সংবাদপত্রে পড়ছি,দূরদর্শণে প্রায়শই দেখছি ।তবে এই ধরণের ঘটনা যে, আমাদের এলাকাতেই ঘটবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি নি।গত চারদিন ধরেই আমরা পচা - দুগন্ধ পাচ্ছিলাম।প্রথম দিকে আমরা মনে করেছিলাম, পাশের কোন ঝোপ - জঙ্গলে হয়তো কোন প্রাণী মরে পড়ে আছে।আর সেটা পচে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে।সেই কারণে বিষয়টা আমরা অতটা গুরত্ব দিই নি। কিন্তু চারদিন ধরে এই রকম দুগন্ধ ছড়ানোয় আমরা শেষমেশ উলুবেড়িয়া থানার পুলিশকে দুগন্ধের কথা জানাই। তারপর পুলিশ আসে।দেখি, এই কান্ড " । উলুবেড়িয়ার থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।