গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দিনে দিনে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে। ভরে উঠছে অট্টালিকায়। তার মাঝে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সমাজের একটি সক্রিয় এই সংস্থা পানিহাটি পত্রকের সদস্যরা স্থানীয় অঞ্চলে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করে চলেছে। তবুও সমাজে ফিরছে না হুশ। রক্ষা পাচ্ছে না সবুজায়ন। গাছ কেটে ফেলার মধ্যে দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্যতা। তাই এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত তাসের দেশ নাটককে অবলম্বন করে পরিবেশ রক্ষার বার্তা তুলে দিতে বেলঘরিয়া নজরুল মঞ্চে মঞ্চস্থ হলো তাসের দেশ ।
স্বৈরাচারী শাসন, ধনতান্ত্রিক সমাজ, ব্রাহ্মণ্যবাদ, প্রাচীন শাস্ত্রের শাসন যখন ক্রমান্বয়ে হয়ে ওঠে স্বাভাবিক নিয়ম-আচরণ-আদর্শ, তা একত্রে মিলে পথ আগলে দাঁড়ায় স্বতন্ত্র, স্বাধীন চিন্তা ভাবনার এবং কাজের সেই অসীম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটির সংস্কৃতি যার নাম। সমাজের দমন, শাসন এবং আস্ফালনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে অধিকার এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে সংস্কৃতিই! পত্রক এবং 'তাসের দেশ' যেন একই সুতোয় বাঁধা- একটি সংস্থা এবং তার প্রযোজনা সংস্কৃতির সেই ক্ষেত্রের প্রতিই সজাগ করে তোলে পরিবেশকে। আরোপিত নিয়ম, দমন এবং নিয়ন্ত্রণের গণ্ডী থেকে বেরিয়ে এসে সম্ভবনাময় এক ভবিষ্যতের কথা ভাবতেও উতসাহিত করে দুই-ই।
এই নাটকের মঞ্চভাবনা এবং নির্মাণ করেছেন বহু-মাধ্যম শিল্পী, সৈকত সুরাই। আলো পরিকল্পনায় জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। পানিহাটি পত্রকের নবতম এই প্রয়াস তাসের দেশ নৃত্য নাট্যে অভিনয়ে রযেছেন সুব্রত বোস, স্নেহ ভট্টাচার্য, মৌনিত সাহা, রিঙ্কু ঘোষ, সুদীপ চক্রবর্তী, পার্থপ্রতিম পাল, তাপস ঘোষ, পূর্ণিমা রায় চৌধুরী, প্রবীর দে, অন্তনা চৌধুরী, শ্রেষ্ঠা ব্যানার্জী, দিশা দে, মানিক সাহা, দেবাশীষ পাল, এবং নন্দিতা সরকার।
বহু নাট্যপ্রেমী মানুষরা আসেন এদিন এই অনুষ্ঠানে। এছাড়াও বিশিশশঠ ব্যাক্তিত্বরা সামিল হন পানিহাটি পত্রকের এই দিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে।