জেলা জজ আদালতের দ্রুত নিষ্পত্তি তৃতীয় কোর্টের বিচারক করিম-উর রেজা রিন্টু বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছেন। ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ১৪ অগস্ট, যখন ১৫ বছর বয়সী কিশোর রনি হালদারকে কৃষ্ণমাটি এলাকার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রিন্টু।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরনো শত্রুতার জেরে রনিকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে গলার চারপাশে বিদ্যুতের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে রনির দেহ ভাগীরথী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।রনির ঠাকুমা যখন দেখতে পান তার নাতি রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি, তখন তিনি ১৫ অগস্ট বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত তদন্তে নেমে রিন্টুকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রিন্টু খুনের কথা স্বীকার করে।বিচারক রিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন এবং সরকারি ও বিবাদিপক্ষের আইনজীবীদের কথা শুনে মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সরকারি আইনজীবী অতীন উপাধ্যায় জানান, ‘খুনের জন্য যাবজ্জীবন এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় তিন বছরের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।’বিচারক দুই সাজা একসাথে চলবে বলে উল্লেখ করেন এবং দুটি মামলায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ধার্য করেন। জরিমানার অনাদায়ে অতিরিক্ত এক মাস করে বাড়তি সাজা ভোগ করতে হবে। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রদান করা হলো, যা জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
