Skip to content
সঙ্গীতের এক নক্ষত্রের বিদায়: প্রতুল মুখোপাধ্যায়

সঙ্গীতের এক নক্ষত্রের বিদায়: প্রতুল মুখোপাধ্যায়

Reported By News Dwsk

সামনেই ২১শে ফেব্রুয়ারি।আর তার ঠিক আগেই অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন “আমি বাংলায় গান গাই” এর স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায়।ছিলনা প্রথাগত কোনো গানের শিক্ষা,তবুও তিনি নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।

নতুন বছরের শুরু থেকেই বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চলছিল চিকিৎসা। অন্ত্রের অপারেশনের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে আইটিইউতে স্থানান্তর করা হয়।শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে ডাক্তারদের সব চেষ্টাকে বিফল করে চলে গেলেন তিনি।

 

অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে তাঁর জন্ম। দেশভাগের সময় পরিবারের সাথে চলে আসেন এপার বাংলার চুঁচুড়ায়।মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের “আমি ধান কাটার গান গাই” কবিতায় সুর দেবার মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর গানের জীবন।নিজের গান লেখার পাশাপাশি অসংখ্য ছড়া,কবিতায় সুর দিয়েছেন তিনি। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের অগণিত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো

পাথরে পাথরে নাচে আগুন (১৯৮৮) অন্যান্য শিল্পীর সাথে

যেতে হবে (১৯৯৪)

ওঠো হে (১৯৯৪)

কুট্টুস কাট্টুস (১৯৯৭)

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (২০০০) অন্যান্য শিল্পীর সাথে

তোমাকে দেখেছিলাম (২০০০)

স্বপনপুরে (২০০২)

২০২২ সালে অপ্রকাশিত গানগুলি নিয়ে প্রকাশিত হয় তাঁর শেষ অ্যালবাম “ভোর”।এছাড়াও “গোঁসাইবাগানের ভূত” চলচ্চিত্রে নেপথ্য কন্ঠ দেন।তিনি মনে করতেন, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সাথে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবলমাত্র তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!