মুর্শিদাবাদের গোয়াস এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে যখন কাদিউল বাপ্পা সরকার নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে, তার সৎ ভাই সুমন সরকার এবং সৎ মা জেলেখা খাতুন তাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। অভিযোগকারী জানান, তার সৎ ভাই সুমন সরকার রানীনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেনের অফিস সহকারি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি চাকরির জন্য একটি চুক্তিও দেখান।
কাদিউল দাবি করেন, টাকা দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরির কথা এড়িয়ে যায় তারা। তিন মাস আগে তার বাবার চিকিৎসার জন্য তারা সবাই একসঙ্গে বেঙ্গালোর গিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যু পর এই বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ্ওঠে। অভিযোগকারী জানান, তারা তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের কাছে গেলে তাদের হাইকোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অপরদিকে, সুমন সরকার অভিযোগ করে বলেন, কাদিউল একজন পরিচিত চিটার এবং তিনি সৌদি আরব পাঠানোর নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, বাবার মৃত্যুর আগে তাদের কিছু জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল এবং কাদিউল সেই জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করছেন।
এখন, অভিযোগকারী এবং তার সৎভাইয়ের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের সূত্রপাত ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্তের দাবি উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে, কাদিউল বাপ্পা সরকারের জন্য টাকা ফেরত পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। তদন্তের ফলে আসন্ন রাজনৈতিক জটিলতার বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।