১৯ শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, কেঁচো খুঁড়তেই কেউটে? সাংবাদিকতার নাম করে প্রতারণা, বিলাসবহুল গাড়ী, কেতা দূরস্ত পোষাক, বিভিন্ন ভি আই পি দের সাথে ছবি, এইসব দেখিয়ে এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই যুবক আদতে তোলাবাজ দাবি অভিযোগকারীর, মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার কলাডাঙা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ওরফে সাহেব নামের এই যুবকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ গ্যাস বিতরণ সংস্থার এক কর্ণধারের। ইসলামপুর ইন্ডেন গ্রামীণ বিতরক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল গ্যাস দেওয়ার নাম করে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে পাবলিকের কাছ থেকে, ওই ইন্ডিয়ান গ্রামীণ বিতরণ সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রনীল হালদারের অভিযোগ, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে খবর ধামাচাপা দেওয়ার নাম করে এক লক্ষ টাকা চাই ওই যুবক। কিন্তু কী কারণে টাকা চাইছেন? ইন্দ্রনীলের বক্তব্য গ্যাসের সংযোগ সহ নানান সার্ভে তে সংস্থা নিয়োজিত এক NGO নির্দিষ্ট প্রকল্পের কিছু উপভোক্তার কাছে ১৭৭ টাকা করে নিচ্ছে, বদলে কখনও পাইপ বা যত্রাংশ দেওয়া হচ্ছে উপভোক্তাদের। বিষয়টি নিয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় ওই যুবক গত ৯ দিন ধরে লাগাতার সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করে একতরফা খবর পরিবেশন করছে। যাতে ব্যাবসায়িক ক্ষতি ছাড়াও সম্মানহানী হয়েছে তার। এরপরেই তৃতীয় এক ব্যাক্তির মাধ্যমে দেড় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়, পরে তা কমিয়ে এক লাখ বলে। লাগাতার চাপে l বাধ্য হয়ে ইসলামপুর থানার দ্বারস্থ হন ইন্দ্রনীল।
নিজের জন্যেই নয়, ওই তোলার টাকা নাকি জেলার অন্য সাংবাদিকদেরও দিতে হয় বলে রফিকুল ইসলাম সাহেব নামের ওই যুবক আরও দুইজনের নামও বলে। অভিযুক্ত যুবক তার এক বন্ধুকে দিয়ে গ্যাস বিতরণ সংস্থার কর্ণধারের এক নিকটাত্মীয়কে হোয়াটসঅ্যাপ এ টাকাও চাই। যেখানে কথোপকথনে দেখা যাচ্ছে, আজ ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যে দেড় লক্ষ টাকা না দিলে নাকি বাইরের রিপোর্টাররাও তার কথায় খবর করতে আসবেন। এরপরেই পাকড়াও করা হয় রফিকুল ইসলাম সাহেবের ওই বন্ধু কে। তিনিও স্বীকার করেন কুকীর্তির কথা
তবে সাংবাদিকতার নামের প্রতারকদের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি প্রশাসনের কাছে।