Reported By : Binay Roy
৭ ই জুলাই, শুক্রবার, বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। উক্ত বৈঠকে তিনি বলেন, পৃথিবীতে খুন সন্ত্রাস করে অত্যাচার করে হিংসার লেলিহান শিখা জ্বালিয়ে কোনো শাসক একদিন দুদিন কিছুদিন টিকে থাকতে পারেন ; কিন্তু সারা জীবন টিকে থাকতে পারেন না। অধীর বাবুর বক্তব্য, মানুষের ভোটে মানুষ অংশগ্রহণ করবে, সেখানে গুলি কেন? বোম কেন? সেখানে খুন কেন?
আমাদের জীবনে যেমন দুর্গাপূজো আসে, ঈদ আসে, বকরি ঈদ আসে; তেমনি গ্রামীণ ভারতবর্ষে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচন গ্রামীণ ভারতবর্ষের একটা রাজনৈতিক উৎসব। তাঁর বক্তব্য, কেন কোনো পার্টির লোকেদের ওপর হামলা হবে! তৃণমূলের কর্মীদের ওপর হামলা হলে কেনই বা সেটা হবে। কংগ্রেসের ওপর হলে কেনই বা সেটা হবে। বিজেপির ওপর হলে সেটাই বা কেন হবে। আমরা সবাই তো নাগরিক। নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব তো সরকারের। মানুষের ভোট যদি মানুষ দিতে না পারে তাহলে কিসের পঞ্চায়েত ভোট? কিসের মানে সরকারের?
এরপর তিনি আরও বলেন, আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট দেওয়ার দিন। মা মাটি মানুষের সরকারের কাছে তাদের আশা ছিল যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন মা মাটি মানুষের নির্বাচন তাই মা মাটি মানুষের নেত্রী বাংলার মা মাটি মানুষকে বরাভয় দেবেন যে তার নেতৃত্বে বাংলায় নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে মানুষ ভোট দানে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন যে নির্বাচন একটা গ্রামীণ উৎসব সেই গ্রামীণ উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হবে। কিন্তু চোরে যেমন ধর্মের কাহিনী শোনে না তেমন বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার নেত্রী তিনিও বিবেকের, অনুভূতির, আবেগের, গণতন্ত্রের বাণী শুনতে চান না। তাই যথারীতি গত বছরের মত এবারেও সারা বাংলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রাস- খুন- মৃত্যু- গোলাগুলি- বোমাবাজি- বোমা বিস্ফোরণ- বোমা উদ্ধার প্রতিদিন লাগাতার ঘটে চলেছে।