Reported By:- Binoy Roy
একদিনে ১০ টি শিশু মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখতে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে রাজ্য স্বাস্থ্য ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের দুই প্রতিনিধি দল এসেছিলেন শনিবার দুপুরে। তারা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য ওয়েলফেয়ার আধিকারিক অসীম মালাকার বলেন, সেদিন ৬ টি নবজাতক শিশু ভর্তি ছিল। তাদের মধ্যে ৪ তে অন্যান্য শিশুও ছিল। একটি গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, কোনটি ৪০০ গ্রামের শিশু ছিল। এছাড়া ৯০০ গ্রামের ওজনেরও বাচ্চা ছিল। যেগুলোর ওজন কম সেই বাচ্চা বাঁচানো যায়নি। তবে বেশি শিশু ভর্তি হয়েছে এটা নয়। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে কাজ চলার কারনে অনেক শিশু পাঠানো হয়েছে সেটাও ঠিক কথা নয়। মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সচেতনতা ছিল আগামীদিনেও থাকবে। তবে ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে মনে করেন তারা। একদিনেই সব থেকে বেশি শিশু মারা গেছে সেই কারণেই আমাদের এখানে আশা। পরিকাঠামো গত কোন অভাব নেই বলেই দাবি করেছেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন, এখানকার স্বাস্থ্য আধিকারিককে নার্সিং হোম গুলির সাথে কথা বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে প্রিন্সিপাল অমিত দাঁ জানিয়েছেন, এই ঘটনা ঘটার পরে গত কালকে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে চার সদস্যের টিম বহরমপুর এসে পৌঁছেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অপুষ্টিজনিত কারণেই বাচ্চাগুলোর মৃত্যু হয়েছে। ১৭-১৮ বছর বয়সের মায়েদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপুষ্টিজনিত বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চারা জন্মাচ্ছে। এখানে চিকিৎসার কোন ত্রুটি হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। নবজাতক শিশু এস এন সি ইউ তে ৬ টি এবং তাদের চেয়ে বড় আরো ৪ টি বাচ্চা মারা গেছে। আমরা চেষ্টা করব সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস বাড়ানোর। যাতে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া না হয়। আমরা আশা কর্মীদেরও ওয়াকি বহল করব। এই সমস্ত আলোচনায় আজকে হয়েছে। আমাদের সমস্ত রিপোর্ট আলাদা আলাদা করে পাঠানো হয়েছে।