Reported By : Binay Roy
৫ ই এপ্রিল , বুধবার, সাগরদিঘী নির্বাচনের পরাজয়ের পরেই মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অবজারভার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সংখ্যালঘু বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বুধবার বহরমপুরে সাংগঠনিক পর্যালোচনা করেন। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ভবনে তিনি এ পর্যালোচনাতে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের বিধায়করা, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সহ সাংগঠনিক নেতৃত্ববৃন্দরা। সেখানে
সিদ্দিকুলা চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সাংগঠনিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পর্যালোচনা করার সেই পরিচালনার কাজ ইতিমধ্যে মালদহ থেকে শুরু করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও প্রায় ৩০ জন জেলা পরিষদের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ৬ জন পৌরসভার চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন এবং ৭ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন । এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলীয় বিধায়করা। তৃণমূল দল একটা বৃহৎ দল। যে বড় দল সুস্থ ভাবে যাতে চলে তার একটি কর্মসূচি চিন্তা পরামর্শ দিয়েছেন। যে পরামর্শ নেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে পৌঁছানোর জন্য বলা হয়েছে। তৃণমূল দল এখন বড় দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এখন কোন বড় দল নেই। কংগ্রেসের কোন নেতৃত্ব নেই। কংগ্রেসের মানুষরা এখন সব তৃণমূল হয়ে গেছে। সাগরদিঘির ঘটনা একটি বিরল ঘটনা। কোন না কোন কারনে ঘটে গেছে, এই ঘটনা মুর্শিদাবাদে প্রবাহিত হবে না। সেই প্রতিজ্ঞাই আজকে করা হল। আগামী দিনে অঞ্চল সভাপতি এবং জেলা সংগঠনের নেতৃত্ব যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে আগামী দিনে বৈঠক করা হবে। বেশ কিছু পরামর্শ উঠে এসেছে বলেও জানান সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।