Reported By : News Desk
২৮ শে মে, রবিবার, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব। অথচ এই মহোৎসব পালনের আলোকবৃত্তের বাইরে বিস্মৃতই রয়ে গেছে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদান। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাঙালি বিপ্লবী পুলিন বিহারী দাস। তাঁর হাত দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা অনুশীলন সমিতি। যা অবিভক্ত বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের এক সশস্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে সর্বপ্রথম আত্মনির্ভরতার পথই দেখিয়েছিলেন বিপ্লবী পুলিন বিহারী দাস। আত্মনির্ভর হতে গেলে প্রয়োজন মানসিক স্থিতি। কোনও পরাক্রমী শক্তির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেকেও সেভাবে তৈরি করা চাই। সে জন্য দরকার শারীরিক ও মানসিক শক্তিও। আজ থেকে শতবর্ষের বেশি বছর আগে ঢাকা অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠা করে সেই পথই দেখিয়েছিলেন বিপ্লবী পুলিন বিহারী দাস। সশস্ত্র পথেই ভারতের স্বাধীনতা আসবে, তাই গান্ধীজির অহিংস আন্দোলনের মতবাদের সঙ্গে একমত হতে পারেননি পুলিন বিহারী দাস। বাংলার যুবকদের সশস্ত্র বিপ্লবে পারদর্শী করে তুলতে ১৯২০ সালে গঠন করলেন "ভারত সেবক সঙ্ঘ"। ১৯২৮ সালে কলকাতার মেছুয়া বাজারে প্রতিষ্ঠা করলেন বঙ্গীয় ব্যায়াম সমিতি। শারীরিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে তৈরি এই আখড়ায় তরুণদের লাঠি, তলোয়ার চালনা ও কুস্তি শেখানো হত। পুলিন বিহারীর সঙ্গে সশস্ত্র বিপ্লবে আত্মনির্ভরতার ভাবনার মিল খুঁজে পান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। ১৯৩০ সালে তৎকালীন কলকাতা পুরসভার মেয়র সুভাষ চন্দ্র বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় পুলিন বিহারীর। তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গীয় ব্যায়াম সমিতিকে ২০ কাঠা জমি দান করে কলকাতা পুরসভার মেয়র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস। তখন থেকে আমৃত্যু পুলিন বিহারীর সাধনাস্থল ছিল বঙ্গীয় ব্যায়াম সমিতি। যা পুলিন দাসের আখড়া নামে পরিচিত ছিল।