Reported By : Binay Roy
৬ ই জুলাই, বৃহস্পতিবার, বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। উক্ত বৈঠকে তিনি বললেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় যেহেতু আমরা নমিনেশন ফাইল করেছি তাই তৃণমূলের সহ্য হচ্ছে না। তারা মুশিদাবাদ জেলার মানুষকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চাইছে না। যেখানে যেখানে বিরোধীদের নির্বাচন করবার প্রচেষ্টা আছে ; বিরোধীরা যেখানে নির্বাচন করতে পারে, তাদের দক্ষতা যোগ্যতা প্রমাণ করছে যেখানে তৃণমূলের হারের সম্ভাবনা প্রবল আছে সেখানে তৃণমূলের সন্ত্রাসের সম্ভাবনাও প্রবল হবে। হারের সম্ভাবনা যখন প্রবল সন্ত্রাসের সম্ভাবনাও তখন প্রবল। আর এইভাবে তৃণমূল সন্ত্রাস করতে ময়দানে নেমেছে। তিনি আরো বললেন, সারা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে মানুষের আলোড়ন কংগ্রেসের পক্ষে। আর তৃণমূল জানে তৃণমূল হারবে। তাই সন্ত্রাস করছে। মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতাটাকেই খর্ব করতে চাইছে তৃণমূলের এই সন্ত্রাস বাহিনী। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সন্ত্রাস করছে কিন্তু পুলিশ চুপ থাকছে। তবে এবার দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। বিভিন্ন জায়গায় মানুষের প্রতিরোধে পুলিশ সক্রিয় হয়ে সন্ত্রাস করছে। ডেকে পাঠানো, মিথ্যা কেস দেওয়া, ভয় দেখানো সব করছে পুলিশ। অতএব পুলিশ এবার সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসে অংশগ্রহণ করেছে। এরপর তিনি আরও বললেন, তৃণমূল বোমা বানাচ্ছে, বোমা ফাটছে। আর মৃত্যু হচ্ছে বোমারুদের। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে রূপায়িত করবার জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা জারি আছে। যারা পুলিশ অবজারভার তাদের ফোন নম্বর কেউ জানে না। যাদেরকে অভিযোগ করা হবে তাদের যোগাযোগ করলে তারা ফোন ধরে না। রাতে বেলায় সুইচ অফ করে দেয়। খুব সুপরিকল্পিতভাবে এই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে লুটের নির্বাচনে রূপান্তরিত করবার আপ্রাণ প্রয়াস এবং কুৎসিত ষড়যন্ত্র করে চলেছে এই তৃণমূল পার্টি। আর তারই প্রতিফলন দেখা গেল মির্জাপুরে এবং গতকাল রাত্রে বেলডাঙার মহেশপুরে বোমা ফেটে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তিদের।