Reported By : Masud Rana
১৭ ই ডিসেম্বর, রবিবার, স্কুলে ছাত্রছাত্রী নেই,অথচ রিতিমত চলছে স্কুল। শিক্ষক আছেন দশজন অথচ ছাত্রছাত্রী শূন্য। শিক্ষক,শিক্ষিকারা প্রতিদিন স্কুলে এসে সবাই মিলে শীতের রোদ পোহাচ্ছেন। গল্প গুজব করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। মাস গেলে সরকারি বেতনের টাকাও গুনে নিচ্ছেন তারা। কিন্তু পড়াশোনা নৈব নৈব চ! হ্যাঁ এমন ভাবেই চলছে মু্র্শিদাবাদের ডোমকলের সারাংপুর হিতানপুর আলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। স্কুলে গিয়ে দেখা গেল,পর পর ক্লাসরুম ফাঁকা,চেয়ার,টেবিল বোর্ড রয়েছে, কিন্তু ছাত্রছাত্রীর দেখা নেই। তবে একটি শ্রেনীকক্ষে টেনেটুনে পাঁচজন ক্ষুদেকে পড়াশোনা করতে দেখা গেছে। তাদেরকেও নাকি এদিক ওদিক থেকে নিয়ে এসে পড়াশোনা করানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। ছাত্রছাত্রী একদম হয় না। তবুও রিতিমত চলছে স্কুল। রাজ্য সরকারের ঘোষণা মোতাবেক ২০১৩ সালে অনুমোদন পায় ডোমকলের সারাংপুর হিতানপুর আলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। এখানে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও এই বিষয়ে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার সাফাই দাবি,ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষার জন্য সবাই স্কুলে আসে না। ২২ ডিসেম্বর রেজাল্টের পর সবাই স্কুলে আসবে বলে তিনি দাবি করেন। খাতায় কলমে ১৯৫ জন ছাত্রছাত্রী আছে বলে স্কুলের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু বাস্তবে স্কুলে গিয়ে ১৯৫ জন ছাত্রছাত্রীর দেখা মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,এই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ এবং স্কুলের রাস্তা তৈরি নিয়ে করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার দেখা পাওয়া যায়নি।