আশঙ্কায় সত্যি হল। একদিন পর নদীর মধ্যে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হল রিপন সেখ নামের ওই যুবক। ফেনসিডিল পাচার করতে গিয়ে নদীতে ডুবে মৃত্যু হল। সামান্য কটা টাকার প্রলোভনে পড়ে নিজের জীবনটায় হারালেন নবম শ্রেণীর এক ছাত্র রিপন সেখ । প্রলোভনে পড়ে কুয়াশার সুযোগে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অন্যের ফেনসিডিল পাচার করতে গিয়ে নদীতে নেমে নিখোঁজ এক যুবক। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী চর কাকমারী এলাকার ঘটনা। ওই যুবক নবম শ্রেণীর ছাত্র। সে পড়াশোনা করতো। উল্লেখ্য,কুয়াশা পড়লে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে ওঠে চোরা কারবারিরা। বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে সীমান্তে লুকিয়ে চোরাচালানের চেষ্টা করা হয়। গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে ডুবুরি নামিয়ে নদীর মধ্যে খোঁজ শুরু হয়। সকাল থেকে তার খোঁজ শুরু হয়। ১২জন ডুবুরি নামানো হয়েছিল। বেলা এগারটার দিকে দেহ উদ্ধার হয়। উৎকন্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছেন রিপন সেখের পরিবার। গতকাল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোঁজ করেও পাওয়া গিয়েছিল না। অবশেষে আজকে পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি,পাড়ার কিছু পাচারকারী লোক টাকার লোভ দেখিয়ে রিপন সেখকে ফেনসিডিল নিয়ে বর্ডারে নামায়। সে ছোট ছেলে চোরাচালান কি জিনিষ কিছুই বোঝে না। তাকে ভুগিয়ে সীমান্তে নামিয়ে দেয়। ওদের জন্য আমাদের ছেলে মারা গেল। আমরা দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতর বিচার চায়। বর্ডারে ছোটদের দিয়ে চোরাচালান করা হয়। ধিরে ধিরে এই প্রবনতা বাড়ছে। ছোট দের ব্যবহার করে ফেনসিডিল গাঁজা সহ অন্যান্য নেশার জিনিস বাংলাদেশে পাচার করা হয়। গতকাল সকালে প্রচন্ড কুয়াশা ছিল। সেই কুয়াশার সুযোগে টাকার লোভ দেখিয়ে ১৬ বছর বয়সী রিপন সেখকে বর্ডারে নামানো হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুরে পাঠিয়েছে সাগরপাড়া থানার পুলিশ প্রশাসন।