পশ্চিমবঙ্গে আবারও ক্লে পলিমার দিয়ে দুর্গাপ্রতিমার নির্মাণ শুরু হয়েছে, যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও শিল্পকলা নিয়ে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত হস্তশিল্প বিভাগের শিল্পী আভা ব্যানার্জির উদ্যোগে এই কর্মকাণ্ড চলছে।
গত বছর, অগ্রণী শিল্পী আভা ব্যানার্জি বিশ্বের প্রথম ক্লে পলিমার দিয়ে দুর্গামূর্তি তৈরির সাফল্য অর্জন করেন। তিনি জানান, "শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিশ্বের নিরিখে গত বছরই আমার হাত দিয়ে প্রথম ক্লে পলিমার দিয়ে দুর্গামূর্তি নির্মিত হয়েছিল।" এবছরের কাজেও তিনি পূর্ববর্তী কাজের মতোই নিখুঁত এবং মনোমুগ্ধকর একটি প্রতিমা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
শিল্পীর কাছে দেবীর রূপকল্পনার ক্ষেত্রে মিশ্রমাধ্যমের আতিশয্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, "মৃতশিল্পীরা মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করেন এবং তার উপর বস্ত্র আচ্ছাদন করেন; আমি পোশাকের ভেতর তুলো ভরে দেবতনু নির্মাণ করি, এই যা পার্থক্য।"
বর্তমানে প্রতিমার ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং আভা ব্যানার্জি তাঁর সহায়িকা শর্মিষ্ঠা পাল-এর সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। শর্মিষ্ঠা জানান, "তুলো, সুতির শাড়ি ও দড়ি দিয়ে মূর্তির কাঠামো এবং অবয়ব তৈরি করা হয়েছে, অপরদিকে মূর্তির মুখ ও হাত-পা তৈরি হয়েছে ক্লে পলিমার দিয়ে।"
আভা ব্যানার্জি আরও মন্তব্য করেছেন যে, "আমাদের শাস্ত্র মতে মাটির মূর্তি পুজো করলে সর্বোৎকৃষ্ট ফল পাওয়া যায়, তবে মহাবিশ্বের প্রতিটা বস্তুতে দেবীর অবস্থান রয়েছে। তাই ক্লে পলিমারের মাধ্যমে মাতৃপ্রতিমা নির্মাণে আপত্তি ওঠার কথাই নয়।"
এভাবে, এ বছরের দুর্গাপূজায় নতুনত্ব নিয়ে আসতে যাচ্ছে আভা ব্যানার্জির এই অভিনব প্রচেষ্টা, যা বহু মানুষের মধ্যে আলোচনার জন্ম দেবে।