News Desk
বন্ধন এমপ্লয়ীজ্ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার, বঙ্গভাষী মহাসভা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহাবোধি সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
২০০৮ সালে 'বন্ধন কোন্নগর' ও 'বন্ধন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড' - এর কর্তাব্যক্তিদের কথায় ৩০৭৬ জন কর্মী শেয়ারে অর্থ বিনিয়োগ করেন। যদিও তাদেরকে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া ও তথ্য জানানো হয়নি। দশ বছর পর লভ্যাংশ পাওয়ার কথা থাকলেও কর্মীরা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
২০২০ সালে তারা জানতে পারেন যে, তাদের নিয়ে গঠিত ট্রাস্টটির নাম 'বন্ধন এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট'। তবে সময়ের সাথে সাথে ট্রাস্টের পরিচালনা বিষয়ক পরিবর্তন সম্পর্কে সদস্যদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
২০২২ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান কল্যাণ কুন্ডু জানান, ট্রাস্টের অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং এই বিনিয়োগগুলি বন্ধন ব্যাংকের ইকুইটি শেয়ারে রয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে সদস্যরা প্রশ্ন তুলেন, "কোথায় কতো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে? গত দশ বছরে সেই টাকার কত লভ্যাংশ পাওয়া গেছে?" তারা দাবি জানান, তাদের ন্যায্য ৬,৭১০ কোটি টাকা শিগগিরই মিটিয়ে দিতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সদস্য শুক্লা বল, সুব্রত বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ দাস ও আবরারুল আলম কাজী প্রমুখ। তারা সকলেই ট্রাস্টের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং তথ্য প্রকাশের দাবি জানান।