ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠে এসেছে। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার চর কাকমারী ১৪ নম্বর পয়েন্টের কাছাকাছি এই ঘটনা ঘটছে, যেখানে স্থানীয় মাটি মাফিয়ারা জেসিবি ব্যবহার করে দশ থেকে পনেরোটি ট্রাক্টরে করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই, ফলে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এভাবে মাটি কাটা হলে বর্ষার সময় নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, পদ্মা নদীর গর্ভ থেকে জমি বিলিন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে, যা কৃষকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল হকের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, তার সঙ্গে এই কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। খবর পেয়ে সাগরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর আটক করে। পাশাপাশি, আটক করা হয়েছে কয়েকজন শ্রমিককেও।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায্যতার দাবি করেছেন। তারা আশা করছেন, প্রশাসন এই বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।