Reported By :- Binoy Roy
আজ বুধবার (12.03.2025) বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
1.তিনি জানান, রাজ্যে সরকারি সংস্থাগুলোর ভিত একদমই কাঁচা হয়ে গেছে, যা শিক্ষার মানকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এদিকে, শিক্ষকদের সংগঠন এবং অভিভাবকদের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারা সরকারি স্কুলের অবকাঠামো ও শিক্ষকের প্রশিক্ষণের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
2. “আমাদের সামনে আসন্ন নির্বাচনে আমাদের সকলের দায়িত্ব হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। আমি আশা করি, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এই বিষয়ে সজাগ থাকবেন যাতে নতুন করে বিভাজনের ঘটনা না ঘটে।”
3.তিনি জানতে চেয়েছেন, রাজ্যে ভোটার কার্ড বা এপিক নাম্বার বাতিলের ক্ষেত্রে সরকারের কি পরিসংখ্যান রয়েছে। চৌধুরী বলেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তার পক্ষে কি সঠিকভাবে রিপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে? আমরা জানতে চাই, এপর্যন্ত মোট কতগুলো ভুয়া ভোটার কার্ড ও এপিকার্ড বাতিল করা হয়েছে?”
4.চৌধুরী দাবি করেছেন যে, বিজেপি এবং তৃণমূল পার্টির প্রতিশ্রুতির ধরন আলাদা হলেও, তাদের সব আশ্বাসের শেষ পরিণতি একই। তিনি বলেন, “এরা মানুষকে খালি আশ্বাস দেয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “মানুষের আশা এবং বিশ্বাসকে যেন খেলা না বানানো হয়। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপায়িত করা।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট যে, জনগণের মধ্যে যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারের বাস্তবায়নের অভাবে।
5. অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে যে সকলের বিকাশের কথা বলেছেন, সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের অভাব কেন?
তিনি জানান, বর্তমান সরকারের মধ্যে একটিও মুসলিম মন্ত্রী নেই, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। চৌধুরী বলেন, “রাজনীতিতে বৈষম্য থাকা উচিত নয়। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অবদান ও কণ্ঠস্বরকে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।”