Reported By :- Binoy Roy
আজ 29 শে মার্চ 2025 অর্থাৎ শনিবার বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে কংগ্রেস দলনেতা মাননীয় অধীর রঞ্জন চৌধুরী একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে রাজ্যের শাসকদলের বিভিন্ন রাজনৈতিক নাটকীয়তা তুলে ধরলেন ।
1.মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, কীভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে ? কিছু শিল্পপতি, যাদের ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট বলা হচ্ছে, তারা প্রকৃত অর্থে প্রোমোটার। তাদের মধ্যে পার্থক্য করা জরুরি। এইসব প্রোমোটাররা সরকারি অর্থের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করছে, যা সাধারণ জনগণের জন্য অন্ধকারে।
2.লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার খরচ এবং সেখানে অবস্থানকে ঘিরে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, তিনি যে হোটেলে অবস্থান করছেন, সেটি সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এই বিষয়টি জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, যখন মুখ্যমন্ত্রী দেশব্যাপী উন্নয়নের কথা বলছেন, তখন তার ব্যক্তিগত খরচের মাত্রা কতটা উপযুক্ত, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
3.অপরদিকে, কলকাতার কিছু ফেরিঘাটের টেন্ডারের সঙ্গে যুক্ত অভিযোগগুলোও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, এই টেন্ডারগুলোতে তৃণমূলের নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, স্থানীয় সরকারের আয় বাড়ানোর বদলে, নগদ অর্থ তৃণমূল নেতাদের পকেটেই যাচ্ছে।
4.এই সব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের বাস্তবতা এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে। সিবিআই তদন্ত তুলে ধরেছে রাজ্যের মধ্যযুগীয় হত্যাকাণ্ডের মতো অমানবিক ঘটনাগুলো, যা মুখ্যমন্ত্রীর উপর নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।
এখন প্রশ্ন হল, রাজ্যের মানুষের জন্য এইসব কিছুর প্রভাব কতটা গভীর এবং রাজনীতির এই নাটকীয়তায় সাধারণ মানুষের জীবন কতটা প্রভাবিত হচ্ছে।