রমজান মাস শুরু। তার আগে সব্জী বাজারে যেন আগুন। বেশ কিছুদিন আগেও ১০০ টাকা নিয়ে হাটে গেলেও থলে ভর্তি করে সব্জী বাজার করে বাড়ি ফিরতো অনেকেই। কিন্তু এখন সে টাকা নিয়ে বাজার করতে গিয়ে কাচুমাচু মুখ নিয়ে ফিরে আসছে তারা। সব্জীর দাম শুনে মাথায় হাত অনেকেরই। অভিযোগ প্রত্যেকবার রোজা এলেই কালোবাজারি এর দাপটে সবজিসহ ফলমূলের দাম হয়ে যায় আকাশ ছোয়া। আরও অভিযোগ কালোবাজারি রুখতে প্রশাসনের কোনো সদ পদ্ধক্ষেপ না নেওয়ায় , শাকসবজি এর আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে, টান পড়তে শুরু করেছে গৃহস্থলীর পকেটে ।
এলাকার এক বাসিন্দা রেজাউল শেখ এর কথায় ," শাক-সব্জীর যদি এত দাম হয় তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষ খাবে কি?"
রানিনগর এলাকার প্রায় বেশ কিছু জায়গায় নামকরা সব্জী হাট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল গোধনপাড়া,রানিনগর,শেখপাড়া,কাতলামারি,নবিপুর, শেয়ালমারি ইত্যাদি। তবে সব হাটেই সব্জীর দাম কমবেশি একই। যেখানে আলু,পেঁয়াজের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকলেও শাক-সব্জীর দাম বেড়েছে আকস্মিক ভাবেই ।
তিন থেকে 4 টাকা দরে বিক্রি হওয়া লেবুই প্রতি পিস এখন 15 থেকে 20 টাকাই বিক্রি হচ্ছে।
যেখানে শসার দাম 30 থেকে 40 এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে, সেই সসাই এখন বিকোচ্ছে কেজি দরে 80 টাকা করে।
তিন -চার টাকা দামের শাকের আটি বিক্রি হচ্ছে 8 টাকা 10 টাকা করে।
রমজান এর এই মরসুমে কলা বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি 6 থেকে 7 টাকা করে।
মরসুমে করলা মিলছে কেজি দরে , ৬০ টাকা , ঝিঙে ৪০ টাকা, একেকটা লাউ মিলছে ২০ থেকে ২৫ টাকার আশেপাশে।
করোনাকালীন লকডাউন এর আর্থিক ধাক্কা কাটিয়ে সবজি বাজারের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি সামলাতে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে আমজনতার