Reported By : Binay Roy
৭ ই নভেম্বর, সোমবার, মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি থানার আধুয়া বেলাইপাড়া গ্রামে দুই যুবতীর মধ্যে গভীর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তারা একই ঘরে থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ প্রবেশ করে এক যুবতীর গোপনাঙ্গে গরম লোহার রড নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টারও অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি করে সাগরদিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন। যুবতীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে এক যুবককে রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানা যায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ শে অক্টোবর সাগরদিঘির বেলাইপাড়ার যুবতী তারই প্রতিবেশী এক বান্ধবীর বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন। রাত ১১ টা নাগাদ গ্রামের তিন যুবক তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। কেন দুই যুবতী ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু তারা বান্ধবী বলে পরিচয় দিলেও সমকামিতার সন্দেহে তাদের ওপর শুরু হয় মারধর। শুধু তাই নয়, ওই যুবতীর শরীরের পোশাক খুলে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। বাধা দেওয়ায় নগ্ন করে তার নিন্মাঙ্গে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা এবং পেট ও উরুতে একাধিক রডের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এসময় তার বান্ধবী বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। এরপর অভিযুক্তদের হাত থেকে কোনোক্রমে সে পালিয়ে বাঁচে। উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা সকলেই তার বান্ধবীর আত্মীয়। রাতে বিষয়টি ভয়ে পরিবারের লোকজনকে না জানালেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে সাগরদিঘি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসা চলার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর এক সপ্তাহ পরেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সাগরদীঘি থানার অফিসার জানান, ইতিমধ্যেই তারই এক আত্মীয় সাহেবুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।