মুর্শিদাবাদের লালবাগের ফার্স্ট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বৃহস্পতিবার এক যুবককে নাবালিকা প্রেমিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আতিকুল শেখ ওরফে ভোলা নামে ২৪ বছর বয়সী ওই যুবকের সঙ্গে নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২০২২ সালের ১৪ অগাস্ট, আতিকুল তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন করে। তিনি তাকে পামাইপুর মোড়ের কাছে দেখা করতে বলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় নাবালিকা বাড়ি থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, কিছু সোনার গয়না এবং জরুরি নথি নিয়ে গোপনে বেরিয়ে যায়। এরপর আতিকুল তাকে মোটরসাইকেলে করে লালবাগের দিকে নিয়ে যায়, কিন্তু সেদিনের পর থেকে ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা তার কোনো খোঁজ পাননি।
২০২২ সালের ১৭ আগস্ট, নাবালিকার পরিবার ইসলামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সরকারি আইনজীবী আরিফুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রঞ্জিতপাড়া এলাকার একটি কলাবাগানে নাবালিকার পচা গলা দেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া সোনার গয়না এবং নগদ টাকা।
আইনজীবীর মতে, পুলিশ ৮৬ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় এবং ১৯ জন সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শেষপর্যন্ত, লালবাগ ফার্স্ট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক ঋষি কেশরী বৃহস্পতিবার আতিকুলকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৫, ৩০২ এবং ২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। আদালতের এই রায় স্থানীয় সমাজে সমালোচনার পাশাপাশি ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তা কে তুলে ধরেছে।