অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল বেলঘড়িয়ার যতীন দাস বিদ্যামন্দির হাই স্কুল বালক বিভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মী কর্মীদের সকলের উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন তোমার বিদ্যালয় তোমার পাশে আছে যতীন দাস বিদ্যামন্দির বালক বিভাগে প্রায় 900 উপরে ছাত্র আছে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত গতবছর 2020 সালের মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হয় করোনা ভাইরাসের আক্রমনের জন্য 10 ই এপ্রিল থেকে এই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষার সহকর্মীদের উদ্যোগে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা হয় এবং তার পাশে পাশে প্রতিটি ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকরা তাদের পরিবারের সাথে কথা বলছেন তাদের পড়াশোনার ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন এবং অনেক ছাত্রছাত্রী যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা যুক্ত হতে পারছেন না সেই সমস্ত ছাত্র দের পাশে এই স্কুলের শিক্ষকরা দাঁড়াচ্ছেন মোবাইল ফোন তিনবার ব্যবস্থা তারা করে দিচ্ছেন এবং প্রতি সপ্তাহে সমস্ত বিষয়ের উপরে যে ক্লাস হয় সেই ক্লাসের স্টাডি মেটেরিয়াল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতেও তুলে দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা দ্বিতীয় ঢেউ আসাস সাথে সাথে শিক্ষকরা স্কুলের ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে আরেকটি অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করেন শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষা সহকর্মীদের অর্থে গড়ে তোলেন একটি বিশেষ ফান্ড সেই ফান্ডের টাকা থেকেই ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষা সামগ্রী পেন পেন্সিল খাতা আঠা রঙিন কাগজ রঙিন পেন স্কেচ পেন রং তার সাথে খাওয়ার জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সাথে কথা বলছেন তাড়া ঠিকঠাক মতন পড়াশোনা করছে কিনা এবং কোথাও কোনো অসুবিধে হচ্ছে কিনা রীতিমতন প্রশ্ন ছাপিয়ে ছাত্রদের হাতে অনুবাদের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে সেই পরীক্ষা তারা নিচ্ছেন এবং অনলাইনে পড়ার জন্য আগ্রহ বাড়ানোর জন্য তারা নতুনভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিভিন্ন রঙের কাগজ দিয়ে ছবি এঁকে বিভিন্ন ধরনের আঁকার মাধ্যমে সেই বিষয়ে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন ছাত্র দের এইরকম উদ্যোগকে এলাকার মানুষ সহ অভিভাবক এবং ছাত্র রাও অভিনন্দন জানিয়েছেন এই রকমের কর্মসূচি হয়তো রাজ্যের কোন স্কুলে এই ভাবে গ্রহন করেনি মিড ডে মিল এর পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকরা তাদের নিজের পয়সায় গড়ে তোলা ফান্ড থেকে অতিরিক্ত খাদ্য বস্তু ও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন ছাত্রদের হাতে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অন্য রাজ্যের স্কুলগুলির যদি এইভাবে এগিয়ে আসে তাহলে ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সুবিধে হবে এবং তারা শিক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে পারবে এবং আরো উদ্যোগ নিয়েছে স্কুলে যাতে ড্রপ আউট ছাত্র সংখ্যা কম হয় ছাত্ররা যাতে শিক্ষার আলো থেকে দূরে সরে না যায় তার দিকে তারা দৃষ্টি রেখেছে