উলুবেড়িয়া উত্তর বিধান সভায় দিদির দূত

Reported By : অভিজিৎ হাজরা
১৬ ই জানুয়ারি, সোমবার, উলুবেড়িয়ায় আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি প্রকল্প গুলোকে তৃণমূল স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নববর্ষের শুরুতেই ঘোষণা করেছিলেন ' দিদির সুরক্ষা কবচ ' কর্মসূচি । সাংসদ, বিধায়ক সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ' দিদির সুরক্ষা কবচ ' এর প্রচার শুরু করেছেন। ছয়টি স্তরে প্রকল্পের প্রচার চালানো হচ্ছে।স্বাস্থ্য সাথি, খাদ্য সুরক্ষা,লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ ছয়টি প্রকল্পের প্রচার চালানো হচ্ছে। কোনো মানুষ যাতে কোনো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় এবং সরকারি প্রকল্পের সমস্ত সুযোগ - সুবিধা পায় সেই গুলি খতিয়ে দেখবেন। আবাস প্লাস নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তোলপাড় রাজ্য।একের পর এক গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ভুয়ো প্রাপকের নাম উঠে এসেছে।এর ফলে বেশ কিছুটা চাপে রাজ্য শাসক দল। এই ভুয়ো প্রাপক নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক মত ও তৈরী হয়েছে।সার্ভের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন।এমন খবরও উঠেছে এবং উঠছে হাওড়া ও তার ব্যতিক্রম নয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে সরোজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন হাওড়ার জেলা শাসক মুক্তা আর্য। উলুবেড়িয়া উত্তর বিধান সভার মুক্তিচক গ্ৰামে " দুয়ারে দিদির দূত " কর্মসূচি পালনে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী,ছাত্র নেতা রুহুল আমিন, হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য বিমল দাস,আমতা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কর সিনহা, সোনালী মুখার্জী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতৃত্ববৃন্দ,কর্মী,সমর্থক বৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত পনেরটি জনমুখী প্রকল্পের সুযোগ -সুবিধা যাতে সকল শ্রেণীর মানুষ পান সেই জন্য এবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই " দিদির দূত "নামে কর্মসূচি শুরু হয়েছে সমগ্ৰ হাওড়া জেলায়। উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী আমতা গ্ৰাম পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা - নেত্রী,কর্মী - সমর্থক ও সাংবাদিকদের নিয়ে সম্মেলন করে মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। নিজের কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা,কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষের দুয়ারে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের পনেরটি জনমুখী প্রকল্প সকল শ্রেণীর মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে তারা অগ্ৰণী ভূমিকা নিচ্ছেন।ডাঃ নির্মল মাজী জানান, আমাদের একটাই মুখ তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী পনের বছর পর ফাইভ সিক্সের ছাত্র - ছাত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ইতিহাস বইতে পড়বেন।তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রর নির্দেশে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই জনমুখী সব কয়টি প্রকল্প সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে চান।রাজ্যের দশ কোটি মানুষদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মানুষ পরিষেবা গুলির সুযোগ -সুবিধা পাচ্ছেন।যে ৫ শতাংশ মানুষ নানান সমস্যার জন্য এই পরিষেবা পান না তার জন্য আমরা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে " দিদির দূত " হিসাবে যাচ্ছি।এর মূল উদ্দেশ্য জনসংযোগ করা।প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে যে ১৫ টি প্রকল্পের সুযোগ -সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা,কী কী সুযোগ -সুবিধা পরিবার গুলি পাবে তা নিয়ে ও দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বৃন্দ।কেউ না পেলে কিভাবে এই সুযোগ -সুবিধা গুলি পাবেন, সেই নিয়ে ও বিশদে বোঝানো হবে বলে জানান বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী। আমতা গ্ৰাম পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে " দিদির সুরক্ষা কবচ " নিয়ে হয়ে গেল একটি সাংবাদিক সম্মেলন। বাংলার সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এই কর্মসূচি। উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী বলেন," দিদির সুরক্ষা কবচ" , " দিদির দূত " এই গুলি নিয়ে বিরোধী দলগুলোর নেতা -নেত্রী,কর্মী - সমর্থকরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। আপনারা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দেবেন। বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা - নেত্রী,কর্মী- সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিরোধী দল গুলির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না কোনো সময়েই। নিজেদের সবসময় সংযত রাখবেন,মাথা গরম করবেন না। তিনি বলেন, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নতুন অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ১৫ টি পরিকল্পনা পৌঁছে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের কাছে।৩৫০ জন নেতা -নেত্রী, আগামী ২ মাস গ্ৰামে গ্ৰামে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছাবেন। গুগলের প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে এই অ্যাপ। দিদির দূত হিসেবে কাজ করছেন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভলেন্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী আরো বলেন,প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্রদের নিয়ে ৩৪০ জনের দল তৈরী হয়েছে।বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ টি অঞ্চল রয়েছে।এক জনের উপরে ১০ টি অঞ্চলে রাত কাটানোর দায়িত্ব আছে।৩২০ জনের হিসাবে ২০০ টি অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে নির্দিষ্ট সময় ১০ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।এর মাধ্যমে ৯৮ শতাংশ অঞ্চলে " দিদির দূত " - রা যেতে পারবেন।যাঁরা " দিদির দূত " হয়ে যাচ্ছেন তারা যাতে দিদির দূতের মতো আচরণ করেন,সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আমতার জাগ্ৰত মেলাইচন্ডী মাতার মন্দিরে পূজা দিয়ে বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজী আমতার মেলাই পাড়ায় " দিদির দূত " কর্মসূচি - তে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের অভাব - অভিযোগ নথিভুক্ত করেন।