REPORTED BY:-BINOY ROY
এবছর ২৩শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন। নেতাজির জন্মদিনের আগের দিনে বহরমপুর নিবাসী পেশায় শিক্ষক ডঃ সায়ন্তন মজুমদার তৈরি করলেন চারটি সাবান দিয়ে— আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকাসহ নেতাজীর মূর্তি।
অতিমারীর সময় আমাদের অন্যতম হাতিয়ার হল সাবান।গত বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে, রথের সময় সাবানের অভিনব জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা মূর্তি তৈরি করেছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক-গবেষক ড.সায়ন্তন মজুমদার। এই বছর তৃতীয় ঢেউয়ে আবার একটিমাত্র সাবান দিয়েই নেতাজীর মূর্তি বানিয়েছেন। ‘তৌলনিক অনুভাবনে শ্রীরবীন্দ্রনাথ’ নামক মহাগ্রন্থের লেখক সায়ন্তনবাবু। সঙ্গে রয়েছে তিনরঙা তিনটি সাবান দিয়ে তৈরি আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকা। তাতে থাকা বাঘ, তার নখ-দাঁত অপূর্ব দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।শিল্পীর অন্যান্য কীর্তির মধ্যে রয়েছে চকের দুর্গা, বাঙালির শ্রেষ্ঠ শারদ উৎসবের সময় তৈরি করেছিলেন চক দিয়ে দুর্গা। শুধু দুর্গা নয় তাতে ছিল তার চার সন্তান সহ অসুর, মহিষ, সিংহ,শিব,শরতের ফুল, পুজোর উপকরণ । অন্যদিকে রয়েছে স্বাধীনতা দিবসে ফুলের আল্পনা, মরা গাছ-ডালপালা দিয়ে কুটুমকাটাম,গাছের পাতায় সূঁচ দিয়ে করা রবীন্দ্রনাথের ছবি সহ সই। পেশায় শিক্ষক সায়ন্তন মজুমদার শৌখিন ভাবে, নিজস্ব অভিনব চিন্তাভাবনা ফুটিয়ে তোলেন তার নিজস্ব পরিকল্পনায়। তাঁর পূর্বতন কর্মক্ষেত্র হরিহরপাড়ার ৪৩ নং সাহাজাদপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়কে “মুর্শিদাবাদের শান্তিনিকেতন”-এ পরিণত করেছিলেন।পদ্মশ্রী-পদ্মবিভূষণ বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহের প্রথম গ্রন্থের প্রাককথন লেখক সায়ন্তনবাবু বহরমপুরের ভূমিপুত্র ও প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী। নিজের জেলা বিষয়ে প্রায় কুড়ি বছরের শৌখিন ক্ষেত্রসমীক্ষক এই শিল্পী ভালোবাসেন জেলা ও রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে অপ্রকাশিত নথিপত্রের মাধ্যমে নতুন তথ্য আবিষ্কার করতে।যদিও তার এই কর্মকাণ্ডে খুশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।