" তর্পণ " - G Tv { Go Fast Go Together)
” তর্পণ “

” তর্পণ “

 

 

শুভ মহালয়ার শুভক্ষণে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে, দেবীপক্ষের শুভ সূচনা। বুধবার বহরমপুরের কলেজ ঘাটে ভোর থেকেই শুরু হয় তর্পণের কাজ। কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই মহালয়ার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান ও করা হয়। কাহিনী পুরাণ অনুসারে, কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তাঁর আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাঁদের কৃপায় জীবনের অনেক বাধা দূর হয়। জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। তাই দেবীপক্ষ শুরুর আগে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। একে মহালয়ায় তর্পণ বলা হয়। মহালয়ার অমাবস্যার তিথির মধ্যেই পিতৃ তর্পণ করতে হয়। পিতৃ পুরুষদের উপলক্ষে নিষ্ঠা করে জলদান করলে, শুভ ফল মেলে।  মূলত গঙ্গাতেই পিতৃ তর্পণ করার নিয়ম। গঙ্গাজলের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে কুশ নিয়ে কোশা- কুশির সাহায্যে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে জলদান করা হয়। মনে করা হয়, মন্ত্র সহযোগে তর্পণ হচ্ছে, প্রকৃত অর্থে পিতৃ পুরুষগণের তৃপ্তি বিধান। আর তাঁরা তৃপ্ত হলে, দেবতারাও তৃপ্ত হন। কথিত আছে রামচন্দ্র, মহালয়ার দিন পিতৃ তর্পণ করেছিলেন। আর সেই থেকেই শুরু হয় এই রীতির।

Leave a Reply

Translate »