Reported By:- Masud Rana
মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার গঙ্গাপ্রসাদ এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে ২৭ বছর বয়সী যুবক জুয়েল খান মুম্বাইয়ে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করার সময় প্রচণ্ড গরমে স্ট্রোক করে মারা যান। জুয়েলের পরিবার এবং গ্রামের লোকজন তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। কিন্তু তার দেহ কবরস্থানে দাফন করার অনুমতি মেলেনি সমাজের নেতৃবৃন্দের কাছে, যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।স্থানীয় সমাজের নিয়ম অনুযায়ী, মদ্যপ, গাঁজাসেবী বা ‘নেশাগ্রস্থ অসামাজিক’ কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কবরস্থানে দাফন করার অনুমতি নেই। সম্প্রতি জুয়েল সম্পর্কে কিছু নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়ে পড়ায়, গ্রামের নেতারা তার দাফনের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে, বাধ্য হয়ে তার মামা সিরাজুল ইসলাম খাঁন নিজের জমিতে জুয়েলের দাফন সম্পন্ন করেন।এই ঘটনা সামাজিক অনুশাসনের প্রতি প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যেহেতু তাদের মতে, একজন পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে জুয়েল এই নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন। এদিকে, শোকগ্রস্ত পরিবার এবং গ্রামবাসীরা সমাজে পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন অসম্মানজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে, সমাজের এই আইন কি সত্যিই সকলের জন্য কার্যকর, নাকি তা শুধু দরিদ্র এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য? এমনি পরিস্থিতিতে সমাজের ভূমিকা এবং নৈতিকতা নিয়ে নতুন আলোচনার শুরু হয়েছে।