লোকসভা ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গোটা দেশে লাগু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। – G Tv { Go Fast Go Together)
লোকসভা ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।  গোটা দেশে লাগু হল  সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  বা সিএএ।

লোকসভা ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গোটা দেশে লাগু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ।

সিএএ বিধির বিজ্ঞপ্তি


লোকসভা ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গোটা দেশে লাগু হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর পর চালু হল হল সিএএ। সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় তোলপাড় দেশ।লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, সিএএ চালু হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও। কেন্দ্রের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই আইনটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তা চালু করার চিন্তাভাবনা নিয়েছিল সরকার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিধি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত বলে আগেই জানা গিয়েছে। তৈরি অনলাইন পোর্টালও। পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনেই হবে বলে খবর।এরপর সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিএএ লাগু করার ঘোষণা করে। আজ মঙ্গলবার থেকেই সিএএ নিয়ে আবেদন করা যাবে। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইন হিসেবে সংসদে পাশ হয়। এই আইন এখনও পর্যন্ত দেশে চালু হয়নি। তবে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে খুব দ্রুত যোগ্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল সরকারি তরফে। সেটিই সোমবার বাস্তবায়িত হয়। সিএএ কার্যকর করা নিয়ে দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যেই টালবাহানা চলছিল। অন্য দিকে, করোনা পর্বের আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্তে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বিজেপি বিরোধী দলগুলিই এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরের বিরোধী। এখনও পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তার আগেই গোটা দেশে চালু হয়ে গেল সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে একাধিক বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই সিএএ। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য সিএএ কার্যকর হবে না।এ দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সিএএ আইনের জেরে কোনওভাবেই প্রভাবিত হবে না। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। ভারতীয় মুসলিমদের উপর সিএএ’র কোনও প্রভাব পড়বে না। কোনও ভারতীয় নাগরিককে তার নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করবে না সিএএ। আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। সোমবার সেই আইন লাগু করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আইনটি পাস হওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এনিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। দিল্লির শাহিনবাগে এনিয়ে টানা আন্দোলন চলে। সিএএ নিয়ে বাংলা, অসম ও ত্রিপুরার মতো রাজ্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। দেশভাগের পর থেকেই ওই তিন রাজ্য প্রতিবেশী দেশ থেকে মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অনেকেই এখনও তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্ধিহান। অথচ তারা ভোট দিয়েছেন তাদের ভোটার কার্ড রয়েছে, আধার রয়েছে, রেশন কার্ড-সহ অন্যান্য নথিপত্র রয়েছে। তারাও আতঙ্কে রয়েছেন। সম্প্রতি বর্ধমান, নদিয়া-সহ একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বহু বাকবিতন্ডার পর কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে যে তাদের আধার বাতিল হবে না। কিন্তু দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যা অন্য জায়গায়। ধর্মে হিন্দু কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে তার জন্য রয়েছে সিএএ। কিন্তু সংখ্যালঘুদের জন্য কী আছে? এরকম প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, একটি অ্যাপ আনা হবে। যারা কাছে যে নথি আছে তা ওই অ্যাপে আপলোড করতে হবে। আর যার কাছে কোনও নথি নেই তিনি স্বঘোষিত তথ্য দেবন। তারই ভিত্তিতে কোনও একজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Translate »
Call Now Button